তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন এবং তারপরে রামপুরহাটের গণহত্যা। এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তও চলছে। এবার বীরভূমের রামপুরহাটে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুনের ঘটনার তদন্তে উদ্যোগী হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কারণ এই ঘটনার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বালি–পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের।
কেন তদন্তে নামছে ইডি? ইডি সূত্রে খবর, ভাদু শেখ খুনের তদন্তে নেমে আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সেই আর্থিক লেনদেন নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই ভাদু শেখ খুন হন বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। গত কয়েক বছরে ভাদু শেখের রোজগার বিদ্যুৎ গতিতে বেড়েছিল। তাই তদন্ত চাইছে ইডি। বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। সেই সব নথি যাচাই করে সিবিআইয়ের হাতে আসে টুলু মণ্ডলের নাম। বালি–পাথর পাচারের টাকার উৎস খুঁজতে গিয়ে উঠে আসে টুলুর নাম।
তাহলে খুনের পর আগুন লাগল কেন? সিবিআই সূত্রে খবর, ভাদু শেখ খুনের বদলা নিতেই বগটুইয়ের কয়েকটি গ্রামবাসীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ৯জন। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত লালন ফেরার। তার বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, হার্ডডিক্সও গায়েব।
তাহলে কী নথি পাওয়া গিয়েছে? ইডি সূত্রে খবর, ভাদু শেখ খুনের তদন্ত নেমে সিবিআইয়ের হাতে বেশকিছু নথিপত্র এসেছে। সেইসব নথিপত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় সঙ্গে বিপুল আর্থিক লেনদেনের ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে। তাই তার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ইডিকে। খুব শীঘ্রই টুলুর নামে একটি এফআইআর করতে চলেছে ইডি।