কাটোয়ায় প্রেমিককে গুলিকাণ্ডে আক্রান্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত তরুণীর মায়ের অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করেছে লাল চাঁদ নামে ওই যুবক। তার জেরে মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে জোর করে গর্ভপাতও করায় সে। অভিযোগ পেয়ে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮.৩০ মিনিট নাগাদ কাটোয়ার সার্কাস ময়দান এলাকায় লাল চাঁদ নামে ওই যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তাঁর প্রেমিকা। গুলি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সেই রাতেই কিশোরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় একটি ওয়ান শটার বন্দুক। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। একজন তরুণী কী করে হাতে বন্দুক পেলেন সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে।
ঘটনায় মোড় আসে শুক্রবার। অভিযুক্ত তরুণীর মা দাবি করেন, মেয়ের সঙ্গে অনেক দিন ধরে সম্পর্ক ছিল ওই যুবকের। জানতে পেরে বাড়ি থেকে তাঁকে সতর্ক করা হয়। বিষয়টি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হলে মেয়েটি জানায়, তাঁকে ধর্ষণ করেছে ওই যুবক। এমনকী জোর করে গর্ভপাতও করিয়েছে। একথা জেনে ছেলেটির বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান মেয়েটির মা ও ঠাকুমা। কিন্তু তা মানতে চায়নি যুবকের পরিবার। এর পর মেয়েকে উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে দেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, প্রতিশোধ নিয়ে এর পর তরুণীর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ওই যুবক। এর পরই উত্তরপ্রদেশ থেকে ফিরে এসে যুবককে গুলি করেন তরুণী।
যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যুবক। তাঁর দাবি, ‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।’ যুবকের মায়ের দাবি, ‘মেয়েকে বাঁচাতে আইনের সাহায্য নিয়ে আমার ছেলের নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।’