ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে শুরু হল কৃষকদের বিমাকরণের কাজ। বিনামূল্যে কৃষকদের শস্য বিমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিল ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর খরা, বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এই বিমার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পাবেন। এই লক্ষ্যেমাত্রা সামনে নিয়ে কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু করল জেলা কৃষিদপ্তর। এই বিষয়ে প্রচার অভিযান শুরু করেছে জেলা কর্তৃপক্ষ।
(আরও পড়ুন: টাকিতে স্কুলের ল্যাবে অ্যামোনিয়ার জার খুলতেই বিস্ফোরণ, আহত শিক্ষক সহ ১০)
ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলায় কৃষক রয়েছেন দেড় লক্ষের কাছাকাছি। প্রশাসন সূত্রে খবর, যাদের চাষ যোগ্য জমি রয়েছে এবং কৃষিকাজকের সঙ্গে যুক্ত, তারা সকলেই এই বিমার আওতায় আসতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শস্য বিমার জন্য নাম নথিভুক্তকরণের ওপর জোর দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
চলতি সপ্তাহের সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের দপ্তরে শস্য বিমা বিষয়ক ট্যাবলো গাড়ির উদ্বোধন করে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রচার ট্যাবলোটি ঝাড়গ্রাম জেলার আটটি ব্লকে আগামী এক সপ্তাহ ধরে প্রচার অভিযান চালাবে। এই প্রচারের লক্ষ্য, কৃষকরা নিজেদের ব্লকের কৃষিদপ্তরে শস্য বিমার জন্য যাতে সহজে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। ট্যাবলো প্রচারের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন ব্লকগুলিতে মাইকিংয়ের মাধ্যমেও প্রচার চালনো হবে কৃষকের কৃষকরা নিজের নাম নথিভুক্ত করেন।
(আরও পড়ুন: Haryana Violence: রাতে নতুন করে হিংসা ছড়াল গুরুগ্রামে, দোকান জ্বালিয়ে দিল জনতা, NIA তদন্তের দাবি)
ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, ‘পুরো অগস্ট মাস ধরে কৃষকরা শস্য বিমার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। বন্য, খরার মতো প্রকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্ষতিপূরণ পাবেন। সেই জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই এ’দিন ট্যাবলো উদ্বোধন হয়েছে। এই গাড়ি আগামী সাত জেলার বিভিন্ন ব্লক ও পুর এলাকায় ঘুরবে। গাড়ি থেকে প্রচার চালানো হবে।’ আগামীতে এই প্রকল্প কৃষকদের কতখানি সহযোগিতা করতে পারবে, সেটাই এখন দেখার। তবে তার আগে এই বিপুল সংখ্যক কৃষিজীবী মানুষের নাম নথিভুক্তকরণ প্রশাসনের কাছে প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ।