আজ, বুধবার সকাল ৭টা থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ফরাক্কা ব্রিজ বা সেতু। আর তার জেরে মালদা এবং মুর্শিদাবাদের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমনকী এই ঘটনায় দক্ষিণবঙ্গ–উত্তরবঙ্গ যোগাযোগও থমকে গিয়েছে। ফরাক্কা ব্যারেজের উপর ৪৮ নম্বর গেটের সামনে আগুন লাগে একটি পণ্যবোঝাই লরিতে। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক।
এদিকে এই পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন লাগার জেরে ভয়ানক বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে মানুষজনকে। গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে গিয়েছে। যানজটে আটকে পড়েছে অ্যাম্বুলেন্স, বাস, ট্রাক এবং প্রাইভেট গাড়ি। এই সমস্যা থেকে মানুষকে বের করতে পুলিশ এবং সিআইএসএফ যৌথ উদ্যোগে রাস্তা পরিষ্কারের কাজে নেমেছে। বহু রেল যাত্রী গরমে নাজেহাল হয়ে সড়কপথ বেছে নিয়েছেন। এখন গোটা রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। তার মধ্যে টানা ৭ ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে নাকাল মানুষজন। পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়ে পড়েছে মানুষের যাতায়াতে।
আরও পড়ুন: রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর কিনল ২০ লাখ প্যাকেট ‘ওআরএস’, কেনার হিড়িক বাড়লেও কমছে জোগান
অন্যদিকে আজ, বুধবার সকালে ধুপ কাঠি এবং অ্যালুমিনিয়াম যন্ত্রাংশ নিয়ে বহরমপুর থেকে মালদা যাচ্ছিল একটি পণ্যবাহী ট্রাক। কিন্তু কিছুদূর যেতেই হঠাৎ ৪৮ নম্বর গেটের সামনে ফরাক্কা সেতুতে এসে ট্রাকে আগুন ধরে যায়। আর তখন থেকেই দুই বঙ্গের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং ফরাক্কা ব্যারেজে মোতায়েন থাকা কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ানরা। এই খবর দেওয়া হয় দমকল বিভাগেও। তারপর দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে ওই ট্রাকের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, ফরাক্কা ব্যারেজের উপর রেল লাইনের বিদ্যুৎ তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তাই বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। যাত্রীরা সড়কপথে পা বাড়ান তীব্র গরমে।
এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ উগরে দেন। এত সময় লাগে রাস্তা সাফ করতে! পণ্যবাহী লরিতে অগ্নিকাণ্ডের জেরে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সাধারণ মানুষজন জানাচ্ছেন, এই গরমে আগুনের লেলিহান শিখায় বাতাবরণ আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। ফরাক্কা ব্যারেজের উপর দিয়ে মালদা হয়ে উত্তরবঙ্গ প্রবেশ করতে হয়। এটাই প্রধান রাস্তা। কিন্তু এই ঘটনা ঘটে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। যদিও দমকলের অফিসাররা জানান, পণ্যবাহী গাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কেমন করে আগুন লাগল লরিতে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।