দুপুরবেলাতেই শহর কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় ঘনিয়ে আসে সন্ধ্যার অন্ধকার। মুষল ধারে বৃ্ষ্টি নামে রাজ্যজুড়ে। এই দুর্যোগের আবহাওয়ার জেরেই রাজ্যে প্রাণ হারালেন ৮ জন। এদিন দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হয়। এই ঝড় বৃষ্টির ফলে এক লাফে অনেকটাই তাপমাত্রা কমে যায়। তবে এরই মাঝে ঘটে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে বাজ পড়ে ১ জনের মৃত্যু হয়। এদিকে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষেও বাজ পড়ে মৃত্যু হয় আরও একজনের। এছাড়া একটি দুর্ঘটনায় নানুরে ২ জনের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমানতা কম থাকায় নানুরে দুর্ঘটনাটি হয়। এদিকে, পুরুলিয়ায় হাসপাতালের সামনে গাছ ভেঙে পড়ে। সেখানেও বড়সড় দুর্ঘটনা হতে পারত, তবে সেখানে থাকা মানুষরা অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান। এছাড়াও হাওড়া বজ্রাঘাতে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। হাওড়ারই বাল্টিকুড়ি এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও একজন। এছাড়া পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে আরও একজন প্রাণ হারান। এদিকে মালদায় লক্ষাধিক টাকার আম নষ্ট হয়েছে আজকের বৃষ্টির জেরে।
ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হয়। আজ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হয় উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান সহ বিভিন্ন জেলায়। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড় বৃষ্টি হয়।