বড়দিনের বিশেষ উপহার পেতে চলেছেন হাওড়াবাসী। গত দু'বছর ধরে বন্ধ ছিল হাওড়ার গড়চুমুক চিড়িয়াখানা। অবশেষে খুলতে চলেছে সেই চিড়িয়াখানা। আগামী বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুনভাবে সেজে ওঠা এই চিড়িয়াখানার উদ্বোধন করবেন। পিকনিকের মরশুমে এই চিড়িয়াখানা খোলার ফলে সেখানে মানুষের ভিড় বাড়বে বলে মনে করছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: এবার দিঘাতেই চিড়িয়াখানা, খেলে বেড়াবে হরিণ-কুমীর, নন্দনকানন ফেল!
গড়চুমুক চিড়িয়াখানাটি আগে মিনি জু ছিল। তবে এই চিড়িয়াখানাটিকে মিডিয়াম স্তরে উন্নীত করা হয়েছে। সংস্কারের কাজের জন্য এতদিন এই চিড়িয়াখানাটি বন্ধ ছিল। এই সময়ের মধ্যে চিড়িয়াখানার পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানো হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক তথা পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়ের উদ্যোগে বনদফতরের তরফে এই চিড়িয়াখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য, এই পর্যটন কেন্দ্রে চড়ুইভাতি করতে আসা পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যে সেখানে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি তিনি জানান, গাদিয়াড়া এবং শিবগঞ্জ এই দুটি এলাকাও জেলার পর্যটন মানচিত্রে স্থান দখল করে নিয়েছে। প্রসঙ্গত, গড়চুমুকের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। হাওড়া জেলা–তো বটেই এমনকী আশেপাশের জেলাগুলি থেকেও এখানে প্রচুর মানুষ প্রতিবছর বড়দিন থেকে শুরু করে এই শীতের মরশুমে চড়ুইভাতি করতে আসেন।
গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রের একটি অংশ রয়েছে দামোদর পারে। এই অংশটি একটি বেসরকারি সংস্থাকে ইজারা দিয়েছে সরকার। বেসরকারি সংস্থার হাত ধরে এই অংশটি সুন্দরভাবে সেজে উঠেছে। এছাড়া অন্য অংশটি হুগলি নদীর পাড়ে অবস্থিত। তবে এই অংশে সৌন্দর্যায়ন হয়নি। অংশটি অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে। সেখানে প্রচুর ঝোপঝাড় রয়েছে। এই অবস্থায় ওই অংশ পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, সেখানে যে সমস্ত ঝোপঝাড় রয়েছে সেগুলি কেটে ফেলা হবে। প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা করা হবে, থাকবে পানীয় জলের ব্যবস্থা। এছাড়া স্বাস্থ্য কর্মী এবং অ্যাম্বুলেন্স মোতায়ন করা হবে। নজরদারির জন্য পুলিশ কর্মীও মোতায়েন থাকবে। এছাড়া এই পর্যটন কেন্দ্র সংলগ্ন রাস্তা মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এখানে চড়ুইভাতি করতে আসা পর্যটকদের গাড়ি উলুবেড়িয়াতে পরীক্ষা করা হবে। আরও জানানো হচ্ছে সন্ধ্যা ৬টার পর পর্যটন কেন্দ্রে থাকা যাবে না। চড়ুইভাতি করে ফেরার সময় যদি কেউ মদ্যপান করে গাড়ি চালায় তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।