মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাটির জন্য বকেছিলেন মা। মায়ের বকা খেয়ে অভিমানে আত্মঘাতী হল এক নাবালিকা। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী ওই নাবালিকার নাম তনুশ্রী খালুয়া (১৫)। তনুশ্রী শ্যামসুন্দর স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তনুশ্রীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন স নয়। বাবা, মা ছাড়া তনুশ্রীর এক দিদিও রয়েছে। কিছুদিন আগেই দিদির বিয়ে হয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে তনুশ্রীকে মোবাইলে ঘাটাঘাটি করতে দেখে বকা দেন মা। কাজ বাদ দিয়ে মোবাইল দিয়ে নাড়াচাড়া করায় বকুনি দিয়েছিলেন তিনি। এরপর যখন সন্ধ্যায় রান্নাঘরে চলে যান মা, তখনই নিজের ঘরে সিলিং ফ্যানে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। কিছুক্ষণ পর অনেক ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ঘরের ভিতরে গিয়ে তনুশ্রীর মা গিয়ে দেখেন, তাঁর মেয়ে গামছা পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ডাকাডাকি শুরু করে দেন তিনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে সবং থানার পুলিশ। নাবালিকার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।