সোমবারের পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধের পর মঙ্গলবারও থমথমে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা লাগোয়া লক্ষ্মীপুর গ্রাম। নিজেদের দাবিতে এখনও অনড় গ্রামবাসীরা। কিছুতেই সেখানে হবে না মাদ্রাসা দফতরের কর্মতীর্থ। ওদিকে স্থানীয় বিডিওর দাবি, সোমবারের ঘটনা গুজবের ফল। ঘটনার পর মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার বারাসত আদালতে পেশ করেছিল পুলিশ। তার মধ্যে ছিলেন বিজেপির গোবরডাঙা মণ্ডলের সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন প্রত্যেককে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়েছে আদালত।
স্থানীয়দের দাবি, তাদের অন্ধকারে রেখে তৈরি হয়েছে কর্মতীর্থ। এর পিছনে রয়েছে পঞ্চায়েতের মাতব্বরদের হাত। তবে কিছুতেই সেখানে চালু হতে দেওয়া হবে না কর্মতীর্থ। এই পরিস্থিতিতে বুধবার গোবরডাঙা যাওয়ার কথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের।
হাবরা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও শুভ্র নন্দী বলেন, ’বেকার যুবক ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দেওয়ার জন্য ১০ বর্গফুটের এক একটা দোকানঘর বানানো হয়েছে। সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের বরাদ্দে তৈরি হয়েছে এই ভবন। সেখানে তো তার নাম লাগাতেই হবে। এলাকার বেকার যুবকরা আবেদন করলে লটারির করে দোকান বিলি হবে।’
গতকালের ঘটনায় রাতভর তল্লাশি চালিয়ে মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করে গোবরডাঙা থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বিজেপির গোবরডাঙা মণ্ডলের সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহু নিরপরাধ মানুষকেও গ্রেফতার করা হয়েছে সোমবার রাতে। ওদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে লক আপে নির্যাতনের অভিযোগ করেছে বিজেপি। মঙ্গলবার ধৃতদের বারাসত আদালতে পেশ করলে বিচারক সবাইকে জামিন দিয়েছেন।
ওদিকে ড্যামেজ কন্ট্রোলে বুধবার গোবরডাঙা যাচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।