১০ বছরের নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দাদুর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতে। নাবালিকাকে বেশ কয়েকদিন ধরে ধর্ষণ করার অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। চিকিৎসার জন্য অসুস্থ ওই কিশোরীকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হলে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। অভিযুক্তকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করেছে বারাসত থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাবা-মা সঙ্গে না থাকায় নাবালিকা তার দাদু-দিদার কাছেই থাকছিল। নাবালিকার দাদাকেও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ৪ বছর আগেও ওই নাবালিকার সঙ্গে একইরকম যৌন হেনস্থা করছিল বলে অভিযোগ। নাবালিকার দিদা সবকিছু জানার সত্ত্বেও কোনও প্রতিবাদ করেননি বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মানসিক সমস্যা আছে বলে সবাইকে জানিয়েছিল অভিযুক্ত ওই ব্যাক্তি। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা ওই নাবালিকাকে কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ঘুরে এসএসকেএমে নিয়ে যান। সেখানেই তার শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তখনই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। তারপর হাসপাতালেই নাবালিকাকে ভরতি করা হয়।
অন্য দিকে, বারাসত থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর প্রতিবেশীরা নাবালিকার দিদাকে চেপে ধরলে তিনি তাঁর স্বামীর কাণ্ডকারখানা স্বীকার করে নেন। ঘটনার পর নির্যাতিতার দিদা বিষয়টি নাতিকেও জানিয়ে দেন। ঘটনাটি জানতে পেরে নাবালিকার দাদা ও বউদি ওই বাড়িতে চলে আসেন। এদিকে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে যে, অভিযুক্ত এসএসকেএম হাসপাতালে রয়েছে। সেই সময় বাড়িতে নির্যাতিতার দাদা ও বউদি উপস্থিত হওয়ায়, তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ওদিকে পুলিশের একটি দল এসএসকেএম হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখানে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। নির্যাতিতার দাদা জানিয়েছে, তাঁদেরকে অনেকদিন আগেই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল অভিযুক্ত দাদু। সেই থেকে তাঁরা অন্যত্র থাকছিলেন। দিদা বিষয়টি তাঁদেরকে জানান। অন্য দিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।