হাতে সময় বেশি নেই। সামনেই উপপ্রধানের বিয়ে। তাই কাজ চলাকালীন পঞ্চায়েত অফিসেই আয়োজন হল উপপ্রধানের ‘আইবুড়ো ভাত’! স্মার্টফোনে বেজে উঠল সানাই থেকে শঙ্খধ্বনি। মহিলা সহকর্মীরা উলুধ্বনি দিলেন। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ১ পঞ্চায়েতে অফিসে এই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন সবাই। আর তার ছবি ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। যদিও এই নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে জামালপুরে? পঞ্চায়েত অফিস সূত্রে খবর, জামালপুর পঞ্চায়েত অফিসের চেয়ারে বসেই হাসিমুখে আইবুড়ো ভাত খেলেন উপপ্রধান সাহাবুদ্দিন মণ্ডল। সানাইয়ের সুর, শঙ্খ–উলুধ্বনি দিয়ে ঘটা করে আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করলেন পঞ্চায়েতের সদস্যরাই। পঞ্চব্যঞ্জনে থালা সাজিয়ে পঞ্চায়েতের মহিলা সদস্যরাই সযত্নে খাইয়ে দিলেন উপপ্রধানকে। আর তাতেই কাজের দিনে কাজ লাটে ওঠে।
ঠিক কী বলছেন উপপ্রধান? এই বিষয়ে উপপ্রধান সাহাবুদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘প্রধান–সহ কয়েকজন সদস্য বাড়ি থেকে খাবার তৈরি করে নিয়ে এসেছিলেন। আমার সামনেই আমার বিয়ে। তাই তাঁরা নিজের হাতের রান্না খাওয়ালেন। আমি তাঁদের আবেগে আঘাত করতে চাইনি। তাঁরাই এই আয়োজন করেছেন। আমি শুধু মেনে নিয়েছি। এই নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।’
ঠিক কী দেখা গিয়েছে? যে ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব বর্ধমান জেলা সফরে আসার আগে জামালপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বসেছে আইবুড়ো ভাত। থালা সাজিয়ে পঞ্চায়েত অফিসেই উপপ্রধানকে আইবুড়ো ভাত খাওয়াচ্ছেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। রান্নার আয়োজনও এলাহি। বড় কাঁসার থালার চারপাশে থরে থরে বাটি সাজানো। ভাত, মাংস, ডাল, হরেকরকম তরকারি–সহ মেনুতে ছিল বড় মাছের মাথার মুড়ো, পায়েস দই, মিষ্টি এবং চাটনি। যদিও পঞ্চায়েতের প্রধান ডলি নন্দী দাবি করেন, ‘অফিসের সময় নষ্ট করে কিছু করা হয়নি। কাজ নিয়ে আসা কেউ ফেরত যাননি। এসব রটনা।’