জিমের মধ্যে ভূতুড়ে কাণ্ড। কার্যত হাড়হিম হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা। জিম করতে গিয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন আবার কেউ অদ্ভুত আচরণ করছেন। আর তা ঘিরেই ভূতের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে কাঁচরাপাড়ার বাঘমোড়ে অবস্থিত জিম সেন্টারে। এই অবস্থায় শেষ পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে হয়েছে জিম। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগেও এরকম ভূতুড়ে কাণ্ডের ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। এই অবস্থায় আদৌও কি সেখানে ভূতের অস্তিত্ব রয়েছে? তাই নিয়ে তদন্ত চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এনেছে ডিটেকটিভ অফ সুপারন্যাচারাল।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতার অশ্বত্থ গাছে ব্রহ্মদত্যি আছে! গাছ কাটতে চরম বিপাকে পড়লেন মেয়র
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জিমটি চালু হওয়া ৬ মাস হয়েছে। কিন্তু, জিমটি চালু হওয়ার পরে যুবক যুবতীরা সেখানে জিম করতে গেলে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই বিষয়টিতে প্রথমে গুরুত্ব দেয়নি জিম কর্তৃপক্ষ। পরে বিষয়টি জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়ায় জিম করতে আসার যুবক যুবতীদের মধ্যে। জিম করতে এসে কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন আবার কারও পিঠে আঁচড় লেগে যাচ্ছে। জিমের মধ্যে সিসিটিভিও রয়েছে তাতে অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু দৃশ্য ধরা পড়েনি।
স্থানীয়দের বক্তব্য, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বসবাস করছেন। কিন্তু, এর আগে তারা এই ধরনের কোনও ঘটনার কথা শোনেননি। জিম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তাদের আরও একটি শাখা রয়েছে খড়দহের রহড়া এলাকায়। সেখানে কোনও সমস্যা নেই। তবে কাঁচড়াপাড়ার শাখায় এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অস্বাভাবিক কাণ্ড হওয়ার পরে আপাতত জিমটি বন্ধ রাখা হয়েছে। তাছাড়া যে বিল্ডিংয়ে জিমটি রয়েছে সেই বিল্ডিংয়ে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে জিমের তরফে দাবি করা হয়েছে।
কী কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে সে বিষয়টি জানার জন্য তদন্ত করছে ডিটেকটিভ সুপার ন্যাচারাল। তাদের বক্তব্য, তদন্ত এখনও চলছে। ইতিমধ্যেই তাদের একটি দল সেখানে পরিদর্শন করে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে। এই সংস্থার মতে, এই ঘটনা হতে পারে কোনও গ্যাসের কারণে, আবার কেউ নাটক করছে অথবা সত্যি সত্যি ভূত থাকতেও পারে। সংস্থার মতে, এর আগেও এই ধরনের ভূতুড়ে কাণ্ড হয়েছে। সেক্ষেত্রে ৯৯ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই মনের ভুলের জন্য এসব ঘটনা ঘটে থাকে। অন্যদিকে, সারা ভারত বিজ্ঞান যুক্তিবাদী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পুরোটাই কুসংস্কার। ভূত বলে কিছু হয় না। যারা এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।