স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে প্রথম থেকেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে একাধিবার বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার পরেও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে অনিয়ম বন্ধ করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে কোনও চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতালে যে প্যাকেজ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের তরফে তার চেয়ে বেশি বিল পাঠানো হচ্ছে। আবার যে চিকিৎসক চিকিৎসা করছেন তার পরিবর্তে অন্য কোনও চিকিৎসক রোগীকে ছুটি দিচ্ছেন। এই অনিয়ম রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিল স্বাস্থ্য দফতর।
গত ২২ আগস্ট স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সরকারের কাছ থেকে খরচ পেতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে রোগী কোন প্যাকেজের আওতায় পড়ছেন তার ব্লকিং স্লিপ এবং ডিসচার্জ স্লিপ সরকারি পোর্টালে আপলোড করতে হবে। রোগীকে যে চিকিৎসক চিকিৎসা করেছে সেই চিকিৎসকের সই সংশ্লিষ্ট স্লিপগুলিতে থাকতে হবে। এমনকি ডিসচার্জ স্লিপেও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সই থাকতে হবে। তবে সেই টাকা মিলবে না হলে সে টাকা মিলবে না। জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগী ফেরানোর অভিযোগ বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রায়ই শোনা যায়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি করেছিলেন। তারপরেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা মানুষ ঠিকমতো পাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে নজরদারি চালানো শুরু করে স্বাস্থ্য দফতর। গত ২৯ জুলাই প্রতিটি জেলায় নজরদারি দল গঠন করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে এই দল প্রতিমাসে ৬টি করে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম আচমকা পরিদর্শন করে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।