বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা।
একুশের নির্বাচনে ঘোষিত সম্পত্তির হিসাব অনুযায়ী বিধায়ক জাকির হোসেন ছিলেন রাজ্যের সবচেয়ে ধনী প্রার্থী। কারণ হলফনামায় লেখা সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ ছিল ৬৭ কোটিরও বেশি। এবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন ২৭ ফেব্রুয়ারি। তবে এই উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ধনীতম বিজেপির দিলীপ সাহা। নির্বাচন কমিশনে তাঁর জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪৩ কোটি টাকারও বেশি।
আর কী জানা যাচ্ছে? আর একটি নজির গড়েছেন দিলীপ সাহা। একুশের নির্বাচনে বিজেপির সবচেয়ে ধনী প্রার্থী যাঁরা ছিলেন তাঁদের সবাইকেই তিনি পিছনে পেলে দিয়েছেন। তখন বিজেপির সবচেয়ে ধনী প্রার্থী ছিলেন বীরভূমের নলহাটি আসনের বিজেপি প্রার্থী তাপস যাদব। তাঁর মোট সম্পত্তি ছিল ৩৪ কোটি ৬০ লাখ ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা। তাঁকেও অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়ে দিলীপ ঘোষণা করলেন, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৪৩ কোটি ৪২ লাখ ৭০ হাজার ২৯৩ টাকা।
কেমন পরিমাণ সম্পত্তি দিলীপের? নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, দিলীপ সাহার নিজস্ব অস্থাবর সম্পত্তি ৪,২৯,০৮,৮৪২.৪৮ টাকার। আর স্থাবর সম্পত্তি ২৮,৭৫,০০,০০০.০০ টাকার। দিলীপ সাহার স্ত্রী সুস্মিতা সাহার অস্থাবর সম্পত্তি ২,০২,১৫,৫১২.৪০ টাকা এবং স্থাবর সম্পত্তি ৬,৫০,০০,০০০.০০ টাকার। এমনকী পুত্র সুমন সাহার অস্থাবর সম্পত্তি ৯৫,০৬,৬৫৫.৪৩ টাকা এবং কন্যা স্নেহা সাহার অস্থাবর সম্পত্তি ৯১,৩৯,২৮৪.৬৩ টাকা। মোট ৪৩ কোটি ৪২ লাখ টাকার উপরে। একুশের নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। আর বাড়ে সম্পত্তিও।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ধনী প্রার্থীদের প্রথম ১২ জনই পরাজিত হয়েছিলেন। সবার উপরে থাকা তাপস থেকে শুরু করে ছিলেন অর্চনা মজুমদার। সম্পত্তি জানিয়েছিলেন ২৮ কোটির বেশি। তৃতীয় ভারতী ঘোষের সম্পত্তি ছিল ১৯ কোটির উপরে। প্রথম ১২ জনে ছিলেন— রথীন চক্রবর্তী, অমিত কুন্ডু, দীপঙ্কর জানা, অম্বুজা মোহান্তি, সুব্রত সাহা, হেমন্ত ঘোষ, কবীরশঙ্কর বসু, সন্দীপন বিশ্বাস, সব্যসাচী দত্ত। সাগরদিঘিতে বিজেপির কাছে এটাই চ্যালেঞ্জ। ধনী প্রার্থীদের প্রথম ১২ জনের সকলেই পরাজিত হয়েছিলেন। কোটিপতি দিলীপ সাহা জয়ের মুখ দেখবেন নাকি পরাজয়ের সেটা সময়ই বলবে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন দিলীপ সাহা। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নবগ্রাম কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে হারতে হয়েছিল বামেদের কাছে। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।