কোচবিহারে শুভেন্দু অধিকারীর সভা। সোমবার সকাল থেকেই শুভেন্দুর সফরকে ঘিরে টান টান উত্তেজনা। কোচবিহার স্টেশন মোড়ে শুভেন্দুর কনভয়কে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগানও দেন তৃণমূল কর্মীরা। পালটা জয় শ্রীরাম ধ্বনি বিজেপি কর্মীদের। তবে তারপরেই কোচবিহারের সভা থেকে তৃণমূলকে চরম হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা নয়, ২০২৪ সালেই বিসর্জন দিয়ে দেব। প্রথমে মহারাষ্ট্র, তারপর ঝাড়খণ্ড, তারপরই বাংলায় পৌঁছে যাব। তৃণমূলকে নিশানা করে বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে কি ২০২৪ সালে সরকার ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন শুভেন্দু?
অন্যদিকে কোচবিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহকেও নিশানা করেন তিনি। বীজ কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ টেনে এনেও খোঁচা দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, শীতলকুচি যাব, দিনহাটা যাব। কে আটকায় দেখি! শুভেন্দুর বক্তব্য প্রসঙ্গে উদয়ন গুহ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বীজ কেলেঙ্কারির কথা যেটা বলা হচ্ছে তা নিয়ে বাংলার কোথাও অভিযোগ রয়েছে বলে আমার জানা নেই। এনিয়ে তদন্ত করে দেখুক। তবে চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া দরকার।
শুভেন্দুর এই চড়া সুরে বক্তব্যকে ঘিরে এদিন কোচবিহারে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই কোচবিহারে যথেষ্ট শক্তিশালী বিজেপি। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে কিছুটা হলেও মনমরা গেরুয়া শিবির। সেক্ষেত্রে শুভেন্দুর কোচবিহার সফর কিছুটা হলেও চাঙা করল গেরুয়া শিবিরকে। এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।