তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে। আবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে। এটাকে ‘ঘর ওয়াপসি’ বলা হলেও একদিনের মধ্যে এমন ঘটনা বিরল। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার একদিনের মধ্যেই ফের জোড়াফুলের পতাকা হাতে নিলেন তৃণমূলের টিকিটে জেতা এক পঞ্চায়েত সদস্য। যা নিয়ে নেটদুনিয়ায় হাসির রোল উঠেছে। রাজনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হাসির খোরাক হতে পারে এই ঘটনা না ঘটলে জানাই ছিল না অনেকের।
এই বিষয়ে অবশ্য তৃণমূলের দাবি, ঝাড়গ্রাম ব্লকের চন্দ্রি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় সদস্য সাবিত্রী খামরইকে ভয় দেখিয়ে বিজেপির কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ঝাড়গ্রাম ব্লকের চন্দ্রি চকে তাঁর হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দিয়েছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী। তারপরে শনিবার সকালেই ঝাড়গ্রাম শহরের স্টেডিয়াম রোডে জেলা তৃণমূলের কো–অর্ডিনেটর অজিত মাহাতোর দলীয় কার্যালয়ে এসে তিনি তৃণমূলেই আছেন বলে জানিয়ে দিলেন। সুতরাং এই গেলেন আর এই ফিরে এলেন - সেই ঘটনায় হাসির খোরাক হয়েছেন সাবিত্রী দেবী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
অজিতের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে সাবিত্রী দাবি করেন, ‘শুক্রবার গেরুয়া পতাকা ধরেছিলাম। কারণ তখন আমার উপর চাপ ছিল। তবে আমি তৃণমূলেই আছি। তৃণমূলের জেলা কো–অর্ডিনেটর অজিত দা যোগাযোগ করে আমাকে ফিরিয়ে এনেছেন।’ তৃণমূলের ক্ষমতাসীন চন্দ্রি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আটজন সদস্যের মধ্যে সাবিত্রী–সহ ছ’জন তৃণমূলের। এছাড়া একজন সিপিএম ও একজন বিজেপির সদস্য আছেন। সাবিত্রী দু’বারের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য।
তবে সাবিত্রীকে দলে ফিরিয়ে আনার পরে জেলা তৃণমূলের কো–অর্ডিনেটর অজিতের দাবি, ‘সাবিত্রীর বাড়িতে নিয়মিত হানা দিয়ে তাঁকে ভয় দেখাচ্ছিলেন বিজেপি’র লোকজন। তাই চাপে পড়ে তিনি বিজেপির পতাকা ধরেছিলেন। ভুল বুঝে শনিবারই দলে ফিরে এসেছেন।’ এই কথা বিজেপি মেনে নিতে নারাজ। জেলা বিজেপি’র সভাপতি সুখময় শতপথীর দাবি, ‘সাবিত্রী স্বেচ্ছায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বরখাস্তের ভয় দেখিয়ে সাবিত্রীকে তৃণমূলের পতাকা ধরতে বাধ্য করা হয়েছে।’