গত কয়েকদিন ধরেই ভোল্টেজ বেড়ে যাওয়ার ফলে পুড়ে গিয়েছে বাড়ির এসি, পাখা, ফ্রিজ, মোবাইল-সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম। সিইএসসির বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন হাওড়া ব্যাঁটরা থানা এলাকার অন্তর্গত কদমতলা কাঁটাপুকুর এলাকার বাসিন্দারা। তাছাড়া লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে গত কয়েক মাস ধরে সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকা-সহ হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগানার কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা। এই সমস্ত অভিযোগে সিইএসসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কাঁটাপুকুর এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: আপনারও কি বিদ্যুতের বিল বেশি এসেছে ? কী কারণ জেনে নিন
তাঁদের অভিযোগ, সিইএসসির ভূগর্ভস্থ কেবলে সমস্যা থাকার কারণে হঠাৎ করে বিদ্যুতের ভোল্টেজ বেড়ে গিয়েছে। আর সেই কারণেই একের পর এক টিভি, ফ্রিজ, এসি, পাখা, লাইট, মোবাইল চার্জার পুড়ে গিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, সিইএসসির কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সিইএসসির কর্মীরা। তাঁরা স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। পরে খবর যায় থানায়। সেখানে পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এক স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, এর আগেও এই সমস্যা নিয়ে একাধিকবার সিইএসসির কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু সিইএসসির পক্ষ থেকে কোনও রকমের পদক্ষেপ করা হয়নি। যার ফলে বাড়ির বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র পুড়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। পাকাপাকিভাবে এই সমস্যার সমাধান না হলে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। ভোল্টেজের সমস্যার পাশাপাশি বিদ্যুৎবিভ্রাট নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। অপর এক স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ কয়েকদিন ধরে ভোল্টেজের সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ আসছে না। সিএসসি লোকেরা কাজ করতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। শুক্রবার কাজ করতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের ফিরে যেতে হয়েছে। স্থানীয়রা চাইছেন, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হোক। সবার বাড়িতে যাতে ভোল্টেজ ঠিক মতো থাকে সেই দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আর এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ির দুটো এসি, ফ্রিজ, তোলার পাম্প পুড়ে গিয়েছে। তিনি জানান, পাঁচদিনেরও বেশি সময় ধরে ভোল্টেজ কম-বেশি হয়েছে। সেই কারণে এই সমস্ত জিনিস পুড়ে গিয়েছে। অন্যান্য বাড়িতেও একই ঘটনা ঘটেছে। বারবার সিএসসিকে জানিয়ে কোনও সমাধান হচ্ছে না। শনিবার সিইএসসির লোকেরা সারতে এসে বলেন অস্থায়ী সমাধান হবে। স্থায়ী সমস্যা সমাধান হবে না। তাঁদের অভিযোগ, সিইএসসির গাফিলতির ফলে তাদের জিনিসপত্র পুড়ে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। অথচ সেই বিষয়ে সিইএসসির কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। এই সমস্ত দাবিতে এই দিন বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।