এখানে কোনও কাজ নেই। উপায় না থাকায় মিজোরামে কাজে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্য। শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সামনে এসব কথা বলতে বলতে জ্ঞান হারালের মিজোরামে রেলসেতু দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিজনরা। এদিন রতুয়া - ইংরেজবাজারে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। রেলের তরফে দেওয়া ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পরিবারের হাতে তুলে দেন তিনি।
শুক্রবার সকালে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে মালদা যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। কিন্তু রেকে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায় অন্য রেকের ব্যবস্থা করতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়। ফলে প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় দেরিতে ছাড়ে ট্রেনটি। মালদায় পৌঁছে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন রাজ্যপাল। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। রাজ্যের তরফে ক্ষতিপূরণ অপর্যাপ্ত বলে অভিযোগ জানান তিনি। এর পর রতুয়া ২ নম্বর ব্লকে যান রাজ্যপাল। সেখানে একই গ্রামের ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়। সেখানে মৃতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রেলের তরফে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের মধ্যে ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক ও ৫০ হাজার নগদ নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেন তিনি।
নিহতদের আত্মীয়রা রাজ্যপালকে জানান, প্রত্যন্ত ওই এলাকায় মানুষের হাতে কোনও কাজ নেই। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে মিজোরামে কাজে গিয়েছিলেন নিহত যুবকরা। পরিবারের মুখে একটু হাসি ফোটাতে গিয়ে চরম পরিণতির মুখোমুখি হতে হল তাঁদের। ইংরেজবাজারেও মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দেন পাশে থাকার আশ্বাস। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করার অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
মিজোরামে নির্মিয়মান রেলসেতু ভেঙে এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এদের প্রত্যেকেই পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সেরাজ্যের সরকার।