কোচবিহারের প্রশাসনিক সভা থেকে দুর্নীতির প্রসঙ্গে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন সময় বিরোধী বিজেপির মুখে 'চোর চোর' শ্লোগান শোনা যাচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, 'আমাদের হাতে পাঁচটা আঙুল রয়েছে, কোনওটা ছোট, কোনওটা বড়। ১০০ ভাগ লোকের মধ্যে এক ভাগ খারাপ কাজ করলে, তার দায়িত্ব দল নেবে না, সরকার আইন আইনের পথে চলবে। তার জন্য আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, আমাকে বলছে চোর। ওরা তো ডাকাত। সার্কিট হাউজে থাকলে ভাড়াটাও দিয়ে দিই। এক পয়সার চাও কারোর কাছ থেকে খাই না। মিথ্যা কথা বললে, জিভ খসে পড়বে।'
শীতলকুচির প্রসঙ্গে তুলে মমতা বলেন, 'শীতলকুচির কথা মনে রয়েছে? যখন তখন গ্রামে ঢুকে গুলি করে দেয়! যেন জমিদারি পেয়ে গিয়েছে। যদি কখনও এরকম গ্রামে গ্রামে অত্যাচার করে, সঙ্গে সঙ্গে থানায় এফআই করবেন। ওরা ভয় দেখিয়ে ভোট করতে চায়, এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ভোট করতে চায়। বলে, আমাদের সঙ্গে না এলে তোর বাড়িতে ইডি পাঠিয়ে দেব। শীতলকুচি কেসে কীভাবে বেল পেল? আমি একমত নয়। খুনি যদি বেল পায়, মানুষ বিচার পাবে কোথা থাকে? বিজেপি করলে চোরগুলোকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে ওয়াশিং মেশিনে। বিজেপি করলে কাদা আর আমি করলে কাদা।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘ইকোনমিক করিডর তৈরি হবে। সেখানে অনেক ছেলেমেয়েদের চাকরি হবে। ২৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক নাম লিখিয়েছেন। তাঁরা যদি কোনও বিপদে পড়েন, তাঁদের আমরা ফিরিয়ে আনব। শুধু ভোটার লিস্টে নামটা তুলে রাখুন। কেউ এনআরসি বলে যাতে বাদ না দিয়ে দেয়। সকলেই সব সুবিধা পায়। নাগরিক না হলে ভোট দিতে পারত? সরকারি সুবিধা পেত?’
তিনি আরও বলেন, 'আলাদা করে পরিচয় পত্র দিচ্ছে বিএসএফ। ওই কার্ড নেবেন না। এন আরসি তালিকায় ঢুকিয়ে দেবে।
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আরও প্রতিবেদন
আমি আজ একটা বড় কাজ করলাম’, ২১০টি রাজবংশী স্কুলকে সরকারি স্বীকৃতি মুখ্যমন্ত্রীর
কোচবিহারে পা রেখেই প্রশাসনিক সভা থেকে রাজবংশী ভাষার ২১০টি স্কুলের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে বেশিরভাগ স্কুলই রয়েছে কোচবিহার জেলায়। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজবংশী ভাষায় স্কুলে পঠনপাঠনের স্বীকৃতি কার্যত মাস্টারস্টোক বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক স্তর থেকে রাজবংশী ভাষায় পড়ানোর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।