সরকারি হাসপাতালে সন্দেহভাজন করোনা রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলতে হাত লাগালেন না কেউ। ফলে ওয়ার্ড থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত যেতে গিয়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল বৃদ্ধের। ঘটনা বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের। ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার।
জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে শ্বাসকষ্ট-সহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক বৃদ্ধ। কিন্তু তাঁর পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাত ৮টা নাগাদ তাঁকে বারাকপুরের করোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। এর পরই হয়রানির শুরু।
নিহত বৃদ্ধের স্ত্রীর অভিযোগ, বনগাঁ থেকে বারাকপুর যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও হয়। কিন্তু বৃদ্ধকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলতে এগিয়ে আসেননি কেউ। এমনকী অ্যাম্বুল্যান্স চালকের কাছে সাহায্য চেয়েও মেলেনি।
এর পর অক্সিজেনের নল খুলে নিজেই ধরে স্বামীকে ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার চেষ্টা করেন স্ত্রী। তখনই পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যুর পর অন্তত ৩০ মিনিট সেখানেই পড়ে ছিল দেহ। তার পর দেহটি উদ্ধার করেন হাসপাতালের কর্মীরা।
ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন হাসপাতালের সুপার। তিনি জানিয়েছেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। কারা তখন হাসপাতালে কর্মরত ছিল তার খোঁজ করা হচ্ছে। খোঁজ চলছে অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরও।
তবে শুধু বনগাঁ হাসপাতাল নয়, রাজ্যজুড়েই অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের বিরুদ্ধে করোনা রোগীদের সঙ্গে অমানবিকতার অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ, রোগীদের অ্যাম্বুল্যান্সে তুলতে বা নামাতে সাহায্য করছেন না তাঁরা।