সব মোটামুটি ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গেল ছকটা। ফুলশয্য়ার জন্য খাট সাজানোও হয়ে গিয়েছিল। অতিথিরাও সব আসছেন একে একে। আর তার পেছন পেছন গোবরডাঙার বিয়ে বাড়িতে এল পুলিশও। এরপর পাত্রকে গ্রেফতার করে সোজা থানায়। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার দেবীপুর এলাকার ঘটনা। একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত পাত্রের নাম অভিজিৎ দাস। কিন্তু কেন তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ?
সূত্রের খবর প্রতিবেশী এক তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই তার সম্পর্ক। প্রায় ৮ বছর ধরে তারা নানা জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন। এমনকী বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাসও হয়েছে। দুবার গর্ভপাতও করতে হয়েছে বলে দাবি প্রেমিকার। আর সেই তরুণীকে ছেড়ে দিয়ে তিনি অপর একজনকে গত ২০ এপ্রিল শিলিগুড়িতে গোপনে রেজিস্ট্রি করেন বলে অভিযোগ। একথা জানতে পেরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রেমিকা।
তাঁর দাবি, বাবার সঙ্গে দিঘা যাচ্ছে বলে বেরিয়েছিল। কিন্তু গোটাটাই ছিল প্রতারণা। বাড়ি ফিরে প্রেমিকার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ রাখেনি যুবক। পরে তারা জানতে পারে সামাজিকভাবে দেবীপুরে বিয়েও করার তোড়জোর করছে অভিজিৎ। এরপরই পুলিশের কাছে গোটা ঘটনা খুলে বলেন প্রেমিকা। এরপরই তৎপর হয় পুলিশ।
তরুণীর দাবি, আমি অভিজিৎকে বিয়ে করতে চাই না। কিন্তু আমি চাই আইনের মাধ্যমে ওর উপযুক্ত শাস্তি হোক। তবে অভিজিতের বাবার দাবি, আমার ছেলেকে বিয়ে করবে না বলে ওই মেয়েটা কয়েক লক্ষ টাকা দাবি করেছিল। সহবাসের মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।