বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Bird: কুলিকে পুজোর আগেই চলে এসেছে বিদেশি অতিথিরা, চলেছে গণনা, যাবেন বেড়াতে?

Bird: কুলিকে পুজোর আগেই চলে এসেছে বিদেশি অতিথিরা, চলেছে গণনা, যাবেন বেড়াতে?

কুলিক পক্ষীনিবাসে আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখির দল। ফাইল ছবি

গাছে গাছে বাসা বেঁধেছে ওরা। সুদূর সাইবেরিয়া থেকে চলে এসেছে পরিয়ায়ী পাখিরা। কুলিক পাখিরালয়ে বাসা বেঁধেছে ওরা। ওদের দেখতে যেতে পারেন রায়গঞ্জের কুলিক পাখিরালয়ে।

পুজোর আগেই এসেছে বিদেশি অতিথিরা। এবার কিছুটা আগেভাগেই এসে গিয়েছে পাখির দল। সেই পাখি গণনার কাজও  হয়েছে রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে। উত্তরদিনাজপুরের কুলিক পক্ষীনিবাসে অন্যান্যবার জুন মাসের শেষের দিক থেকে পাখির দল আসতে শুরু করে। তবে এবার ছবিটা কিছুটা ভিন্ন। এবার মে মাস থেকেই দূর সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখিরা।

এই কুলিক পাখিরালয়কে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শামুকখোল পাখির আস্তানা হিসাবে ধরা হয়। ওপেনবিল স্টর্কের পাশাপাশি পাখিরালয়ের গাছে এসে বাসা বাঁধে নাইট হেরন, কর্মোরেন্ট, ইগ্রেটের মতো পরিযায়ীরা। এখানেই ডিম পাড়ে তারা। এরপর বাচ্চা উড়তে শুরু করলে ফের দূর দেশে পাড়ি জমায় তারা।

 গোটা শীতকাল তারা কুলিকেই থেকে যায়।তবে বিশেষজ্ঞদের আশা এবার পাখির সংখ্যা বিশেষত ইগ্রেটের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। গতবারে এই সংখ্যাটা ছিল ১১,৮৯৭টি।এবছর পাখির সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে পাখি গণনা করা হয়?

প্রতিটি গাছে রয়েছে আলাদা করে নম্বর। এরপর প্রতিটি গাছে কটা করে পাখির বাসা রয়েছে সেটা দেখা হয়। সাধারণ একটি বাসা বাবা পাখি, মা পাখি সহ চারটি পাখি থাকে বলে ধরে নেওয়া হয়। সেই অনুসারেই চলে পাখি গোনার কাজ।বনদফতরের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থাও এই পাখি গণনার কাজে অংশ নিয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে ২০১৯ সালে আচমকাই পাখি আসার সংখ্যা কমে গিয়েছিল এখানে। সেবার ৯৩,০৮৮টি পাখি এসেছিল। পরের বছর ২০২০ সালে ৯৮,৬৩১টি ও ২০২১ সালে ৯৮,৭৩৯টি পাখি এসেছিল কুলিকে। তবে এবার পাখির সংখ্যা কত হবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে।এবার লকডাউনের প্রভাব নেই। সেক্ষেত্রে দুষণের জেরে পাখির সংখ্যা কমবে নাকি কুলিক বনবিতানে বাড়বে পাখির সংখ্যা ? বৃহস্পতিবার থেকে দুদিন ব্যাপী এই পাখি গণনার কাজ চলেছে।

পরিযায়ী পাখিরা যাতে এখানে নিরাপদে থাকতে পারে সেকারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে বনদফতর। কিন্তু এলাকায় শব্দের প্রাবল্য যাতে কম থাকে সেটাও দেখা হয়। কিন্তু বাস্তবে পরিযায়ী পাখিদের উপযোগী পরিবেশ কতটা রক্ষা করা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। 

এবার শীতকালে কুলিকে বেড়াতে আসতে পারেন।একাধিক হোটেল রয়েছে রায়গঞ্জে। কুলিকের কাছে সরকারি গেস্ট হাউজও রয়েছে। দিনদুয়েক পাখি দেখেই কাটিয়ে দিন। মন ভালো হয়ে যাবে। 

বন্ধ করুন