দুর্গাপুজোর আগেই রাজ্যের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়তে চলেছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর টাকা। নবান্ন সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর যে ফর্ম জমা পড়েছে, তা দ্রুত খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।
এমনিতেই এবার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর ফর্মের চাহিদা সবথেকে বেশি ছিল। নবান্নের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সবথকে বেশি ১.৮ কোটি আবেদনপত্র জমা পড়েছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে। তাও মাত্র এক মাসে সেই সংখ্যক আবেদনপত্র জমা পড়েছে। যে প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের জেনারেল শ্রেণিভুক্ত পরিবারের মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত পরিবারের মহিলারা ১,০০০ টাকা পাবেন।
উল্লেখ্য, ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তাহারে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ শুরু হয়। নবান্নের দাবি, মহিলা ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া সবাইকে সেই প্রকল্পের আওতায় রাখা হয়েছে। গত অগস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘যাঁরা যোগ্য, তাঁরা সকলেই (‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর ফর্ম) পাবেন। ২৫-৬০ বছরের মধ্যে পাবেন। যাঁরা সরকারি চাকরি করেন না বা পেনশন পান না। সরকারি চাকরি করেন বা পেনশন পান যাঁরা, তাঁরা ছাড়া সাধারণ মা-বোনেরা পাবেন।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘যাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালেই ফর্ম পেয়ে যাবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আমরা একটা নিয়ম করেছি। বাড়ির সবথেকে বয়স্ক মহিলার নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে। ধরুন, সেই বাড়িতে তিনজন মহিলা আছেন। তাঁদের বয়স ২৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে। তাঁদের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। তাঁদের অভিভাবকের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে ওই বাড়ির বউ-মেয়েরা পাবেন।’