রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আবহাওয়া সরগরম। এরমধ্যেই করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনার পরবর্তী সময় সতর্কতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। অন্যদিকে ভর্তি নিয়ে চলছে নানান অনিশ্চিয়তা। একনজরে বিভিন্ন সংবাদপত্রে আজকের বড় খবরগুলি-
সতর্কতা পূর্ব রেলওয়েতে- করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর ফিল্ড স্টাফদের আরও বেশি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে পূর্ব রেল, জানাচ্ছে আনন্দবাজার। প্রায় ২৭ লাখ মানুষ দৈনিক পূর্ব রেলওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন। ফলে ক্ষণিকের ভুলে যে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, করমণ্ডলে বিপত্তির পর আরও বেশি করে সেই নিয়ে সতর্ক সবাই।
কর দেন না বড় সংখ্যক কলকাতাবাসী- কলকাতার মোট করদাতা নয় লক্ষ মানুষের মধ্যে প্রায় তিরিশ শতাংশ সম্পত্তিকর দেন না বলে জানাচ্ছে আনন্দবাজার। অনেকের সম্পত্তিকর বকেয়া বা নিয়মিত কর দেন না। কলকাতা পুরসভা তাদের আর্থিক হাল শোধরানোর জন্য বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে। সেই প্রক্রিয়াতেই চোখে পড়েছে এই বিষয়টি। এবার কর আদায়ের জন্য সক্রিয় হওয়ার কথা ভাবছেন আধিকারিকরা।
কলকাতাবাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করবে পুরসভা-যারা বাড়িতে জমা জল সাফ করছেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কলকাতা পুরসভা। প্রথমবার মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সতর্ক করা হবে। দ্বিতীয়বার একই ভাবে জমা জল দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে। দোষী সাব্যস্ত হলে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ইতিমধ্যেই গত পাঁচ মাসে ৩৫জনকে এভাবে টাকা দিতে হয়েছে, জানাচ্ছে সংবাদ প্রতিদিন।
মালদায় বিজেপির মুসলিম প্রার্থী- জেলা পরিষদ দখলে মরিয়া বিজেপি। তার জন্য এবার মুসলিম প্রার্থী দিল বিজেপি, যা পার্টি সাধারণত করে না। সুজাপুরের দুজন ও মানিকচকে একজন মুসলিম প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি, বলে জানিয়েছে সংবাদ প্রতিদিন। সবমিলিয়ে এখনও ১৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দল।
বগটুইকাণ্ডে পরিবার হারানো সীমা বিজেপির প্রার্থী- রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির টিকিটে দাঁড়ালেন সীমা খাতুন। তাঁর শাশুড়ি, ননদ ও নন্দাই বগটুই কাণ্ডে প্রাণ হারান। স্থানীয়দের দাবিকে সম্মান জানিয়েই তিনি ভোটে লড়ছেন বলে দাবি সীমার। তৃণমূল এই ঘটনাকে বিশেষ পাত্তা না দিলেও খুশি বিজেপি।
অতিরিক্ত পুষ্টি মিড ডে মিলে- জঙ্গলমহল, ডুয়ার্স সহ একাধিক এলাকায় মিড ডে মিলে সরকারের তরফ থেকে সপ্তাহে একদিন অতিরিক্ত ফল বা ডিম বা উভয়ই দেওয়া হবে। কেন্দ্রের অনুমোদনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের শিশুরা যাতে উপযুক্ত পুষ্টি পায়, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।