করোনা আক্রান্ত অবস্থায় প্রসব করেও সুস্থ সন্তানের জননী হয়ে বাড়ি ফিরলেন হাওড়ার এক তরুণী। শুক্রবার হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্যর উপস্থিতিতে গানের সুরে মা ও ব্যাটাকে বাড়ির পথে রওনা করেন হাসপাতালের কর্মীরা। এই ঘটনা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রোগী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল বাড়াবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
গত ১৩ এপ্রিল করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের বাসিন্দা ওই আসন্নপ্রসবার। এর পর তাঁর চিকিৎসা শুরু হাওড়ার বেসরকারি করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র সঞ্জীবন হাসপাতালে। সেখানে গত ২০ এপ্রিল সেখানে সুস্থ পুত্রসন্তান প্রসব করেন ওই তরুণী। এর পর মাকে সুস্থ করে তুলতে শুরু হয় চিকিৎসক ও নার্সদের লড়াই।
সঞ্জীবন হাসপাতালের অধিকর্তা শুভাশিস মিত্র জানিয়েছেন, ‘জন্মের সময় শিশুটির ওজন ছিল ২.৭ কেজি। সংক্রমণ রুখতে মাকে PPE পরিয়ে রাখা হচ্ছিল। নিয়মিত ব্যবহার করা হচ্ছিল স্যানিটাইজার। শিশুকে মায়ের থেকে নিরাপদ দূরত্বে রেখেছিলাম আমরা।’ তিনি জানান, এর পর মা ও সন্তানের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাই তাঁকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেনে তাঁরা।
শনিবার হাসপাতালের সামনে গান গেয়ে ও হাততালি দিয়ে মা ও শিশুপুত্রকে বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা করেন হাসপাতালের কর্মীরা। সেই সময় সেখানে হাজির ছিলেন হাওড়ার জেলাশাসক, উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক, স্থানীয় বিধায়ক প্রমুখ। রবীন্দ্রনাথের গানে ‘তরী খানা বাইতে গেলে মাঝে মাঝে তুফান মেলে’ গেয়ে অভিনন্দন জানান করোনাজয়ী সেই মা কে।