বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন স্ত্রী। বারবার বললেও শোনেননি। স্ত্রী রেণু খাতুনের ডান হাতের কবজি কেটে নেওয়ায় অভিযুক্ত শের মহম্মদের নতুন দাবিতে ছড়াল চাঞ্চল্য। যদিও পত্রপাঠ সেই অভিযোগ খারিজ করেছে রেণুর পরিবার।
শনিবার কেতুগ্রামে শের মহম্মদের ঘরে রেণু খাতুনের হাত কাটার ঘটনা পুনর্নির্মাণ করেন গোয়েন্দারা। সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্ত স্বামীসহ ৪ জনকে। কী করে তারা রেণুর হাত কেটেছিল তা অভিনয় করে দেখায়। এমনকী বিছানার চাদর সরিয়ে দেখা যায় তোষকে তখনও রয়েছে রক্তের দাগ।
এর পরই গোয়েন্দাদের তরফে জানা যায় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতারির পরই শের মহম্মদ গোয়েন্দাদের জানিয়েছিলেন, স্ত্রীর চাকরি করায় মত ছিল না তাঁর। চাকরি পেলে স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যাবেন বলে এক প্রকার নিশ্চিত ছিলেন তিনি। কিন্তু কী ভাবে তিনি এব্যাপারে নিশ্চিত হলেন তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল গোয়েন্দাদের মনে। তাই লাগাতার অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা।
গোয়েন্দাদের শের মহম্মদ গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, স্ত্রী রেণু খাতুনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য স্ত্রীকে বহুবার বলেছিলেন তিনি। কিন্তু কাজ হয়নি। যার জেরে তাঁর মনে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়, চাকরি পেলেই প্রেমিকের সঙ্গে ঘর ছাড়বেন রেণু।
ওদিকে রেণু খাতুনের ভাই সরিফুল দিদির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পত্রপাঠ অস্বীকার করেছে। তিনি বলেন, দিদিকে কলঙ্কিত করে বাঁচার চেষ্টা করছে ও। আমার দিদি ওকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের প্রশ্ন ওঠে না।