বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ‘‌ইলেকট্রিক মিটার যার, পানীয় জল তার’‌, পরিশ্রুত জলের সংযোগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নবান্নর

‘‌ইলেকট্রিক মিটার যার, পানীয় জল তার’‌, পরিশ্রুত জলের সংযোগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নবান্নর

বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল। ছবি : হিন্দুস্তান টাইমস (HT_PRINT)

পিএইচই বা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত গ্রামীণ এলাকার ৩৪.৪২ শতাংশ বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়া হয়েছে। এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালের মধ্যে। এভাবে কাজ চললে মোট বাড়ির ৮০ শতাংশে সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ সম্ভব হবে। ১০০ শতাংশ করতে গেলে আরও গতি লাগবে।

বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল দিতে চায় রাজ্য সরকার। এই কথা আগেই শোনা গিয়ে ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। এবার তা সরবরাহ করার ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। যাঁর নামে ইলেকট্রিক মিটার রয়েছে বাড়িতে তাঁর নামেই এই পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। তাই গ্রামবাংলার মানুষের বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দিতে চায় রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের কথা নির্বাচনী প্রচারেও বলা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে কথা রাখতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে গ্রামীণ এলাকায় একটি বাড়িতে একটি জলের সংযোগ দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। এই সিদ্ধান্তের কথা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটছে?‌ নবান্ন সূত্রে খবর, বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে। পরিশ্রুত জলের গুণগত মান পরীক্ষা করা হবে। একটি বাড়িতে একটি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে। অপচয় এবং খরচ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জলের জোগান যাতে কমে না যায় তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। একটি বাড়িতে একটি ইলেকট্রিক মিটার দেওয়া হয়। তাই সেই নথি অনুযায়ী একটি জলের সংযোগ দেওয়া হবে। ফলে সবদিকে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ প্রত্যেক জেলার প্রত্যেক বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ দিতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কাজে আরও গতি আনার জন্য জেলাভিত্তিক বৈঠক করেছেন মন্ত্রী পুলক রায়। পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা ছকে ফেলা হয়েছে। এমনকী রাজ্যের মুখ্যসচিবও সংশ্লিষ্ট দফতরের অফিসার এবং জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে সূত্রের খবর। এই কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আর এই পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ গ্রামীন এলাকার বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারলে তা হবে একপ্রকার মাস্টারস্ট্রোক।

আরও পড়ুন:‌ মুদিয়ালির পিএসসি ভবনে শুভেন্দু অধিকারীকে ঢুকতে বাধা, পুলিশের সঙ্গে বচসা তুঙ্গে

ঠিক কী তথ্য দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর?‌ পিএইচই বা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত গ্রামীণ এলাকার ৩৪.৪২ শতাংশ বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়া হয়েছে। এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালের মধ্যে। এভাবে কাজ চললে মোট বাড়ির ৮০ শতাংশে সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। কিন্তু ১০০ শতাংশ করতে গেলে আরও গতি লাগবে। এই প্রকল্পে রাজ্য ৫০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করে। বাকি ৫০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র। মোট ৫৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা খরচ করে কাজে গতি আনতে চাইছে রাজ্য।

বন্ধ করুন