ছেলের পড়াশুনো চালাতে ব্যবসা বিক্রি করে দিয়েছেন বাবা। সেই ছেলের গ্রেফতারিতে মূহ্যমান গোটা পরিবার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন রসায়নের ছাত্র নাসিম আখতার। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বারারী গ্রামের বাসিন্দা নাসিমের পরিবার মানতে নারাজ যে ছেলে ব়্যাগিংয়ে যুক্ত। বাবা মহসিন আখতারের স্পষ্ট দাবি, ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। ছেলের গ্রেফতারির পর থেকেই শয্যা নিয়েছেন মা নুরজাঁহা আখতার।
নাসিমের বাবা পেশায় কৃষিজীবী। মা স্বাস্থ্যকর্মী। গ্রামের স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে খড়গপুরের আল আমিন মিশন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন নাসিম। এর পর যাদবপুরে রসায়ন পড়ার সুযোগ পান তিনি। সায়েরি জানিয়েছেন, ৯ অগাস্ট রাতে আমার দাদু মারা যান। ১০ তারিখ সকালে সেকথা দাদাকে জানালে ও সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। তার পর থেকে ও বাড়িতেই ছিল। বৃহস্পতিবার হস্টেল সুপার দাদাকে জানান পুলিশ ওকে দেখা করতে বলেছে। সেই মতো শুক্রবার সকালে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে যাদবপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় দাদা। রাতে জানতে পারি ওকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রামবাসীদের দাবি, পড়াশুনো নিয়েই থাকত নাসিম। তাঁর পরিবারেও পড়াশুনোকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। বড়পলাসন ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, হিরের টুকরো ছেলে আমাদের। কেউ নিশ্চই ফাঁসিয়েছে। আমি প্রশাসনকে বলব, দেখবেন কোনও নিরপরাধ যেন সাজা না পায়। নাসিমের মা কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। মামা বলেন, আমার ভাগ্নে এসব কাজে যুক্ত থাকতে পারে না। পুলিশ বলছে ঘটনার দিন ওই ঘরে ছিল ও। হস্টেলের ঘরে কোনও ছাত্র তো থাকতেই পারে। তাই বলে সে ব়্যাগিংয়ে যুক্ত প্রমাণ হয় না কি?