নকশাল নেতা কানু সান্যাল। শিলিগুড়ির হাতিঘিষার নকশালবাড়িতে এই বাড়িতেই থাকতেন কানু সান্যাল। দিন কয়েক আগেই তাঁর সেই ভিটের একাংশ দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এনিয়ে নড়চড়ে বসে প্রশাসন। এদিকে সেই টিনের চালার ছোট্ট বাড়িতে সংগ্রহশালা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল সংগঠন। সেই পরিকল্পনা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে পরিকাঠামোর অভাবে পুরোপুরি করা যায়নি। এবার সেই ভিটেতেই স্কুল তৈরির ভাবনা সংগঠনের। সিপিআই(এমএল) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কানু সান্যালের সংগঠনের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক দীপু হালদার হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, সংগ্রহশালাটা পুরোপুরি তৈরি করা যায়নি এখনও। জমিও দখল হয়ে যাচ্ছিল। তবে প্রশাসন যে ব্যবস্থা করেছে তাতে আমরা পুরোপুরি খুশি নই। আমরা ওই বাড়িতে স্কুল তৈরির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি।
কানু সান্যাল। ১৯৭৯ সাল থেকে নকশালবাড়ির প্রত্যন্ত গ্রামের এই বাড়িতেই থাকতেন তিনি। বলা চলে আন্দোলনের সলতে পাকানো হত এই বাড়িতে বসেই। ২০১০ সালের ২৩শে মার্চ নকশালবাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছিল নকশাল নেতার ঝুলন্ত দেহ। বর্তমানে সেই বাড়ি সংগঠনের কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সেখানেই রাখা আছে প্রয়াত নেতার ব্যবহার করা টাইপ রাইটার, বই, ডায়েরি, বাসনপত্র, চশমা সহ নানা সামগ্রী। এখনও বহু মানুষ সেগুলি দেখতে আসেন। এবার সেই টিনের চালার ছোট্ট বাড়িতেই অ-আ-ক-খ পড়বে প্রত্যন্ত গ্রামের ছোট্ট ছেলেমেয়েরা। তাদের কাছে পৌঁছে যাবে শিক্ষার আলো। সংগঠনের তরফে এব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। জীবিত থাকাকালীন গ্রামের মানুষের কাছেও অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন কানু সান্যাল। তাঁর ভিটেতেই এবার পড়তে যাবে ছোট্ট পড়ুয়ারা। সংগঠনের তরফেই এই স্কুল চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।