বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > NB Tour: মিরিকের কাছে বুনকুলুং,আছে জঙ্গল ক্যাম্প, ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে সুন্দরী গ্রাম

NB Tour: মিরিকের কাছে বুনকুলুং,আছে জঙ্গল ক্যাম্প, ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে সুন্দরী গ্রাম

বর্ষায় সেজে উঠছে পাহাড়।  (সংগৃহীত)

ঠিক তাঁবু নয়, কিন্তু তাঁবুর মতো অনুভুতি হবে আপনার। বালাসনের ধার বরাবর ট্রেকিংয়েরও ব্যবস্থা রয়েছে। কম উচ্চতার ট্রেকিং, সার্ভাইভাল ক্যাম্প, নেচার ক্যাম্পেরও সুযোগ রয়েছে। বর্ষায় জঙ্গল ক্যাম্প খোলা থাকলেও নদী পারাপারের ঝুঁকি না নেওয়াটাই মঙ্গল।

বুনকুলুং। নামটা খটোমটো লাগলেও জায়গাটা কিন্তু ফাটাফাটি। মিরিক থেকে বেশ কাছেই। এটিকে মডেল গ্রাম হিসাবেও ধরা হয়। ঈশ্বর যেন নিজে হাতে এই গ্রামকে সাজিয়েছেন। পাহাড়, জঙ্গল, হরেক পাখির মেলা, নদী কী নেই এই গ্রামে। সবুজে সুবজ এই গ্রাম। আর বর্ষায় এই গ্রাম যেন একেবারে অপার সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে বসে রয়েছে। 

কীভাবে যাবেন?

এনজেপি থেকে মিরিক হয়ে বুনকুলুং(Bungkulung) মাত্র ৫০ কিমি। আপনি এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া না করেও আসতে পারেন। এতে টাকা অনেকটা সাশ্রয় হবে। দার্জিলিং মোড় বা এনজেপি অথবা তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে আপনি শেয়ার গাড়িতে মিরিক আসতে পারেন। এরপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে বুনকুলুং। দার্জিলিং থেকে মিরিক, সৌরিনী হয়েও বুনকুলুং আসা যায়। এখানে হোমস্টে রয়েছে। তবে জঙ্গল ক্য়াম্পে থাকার মজাই আলাদা।

কাছেই সিংবুল টি এস্টেট। একবার ঘুরে আসতে পারেন। ঝিরিঝিরি বর্ষায় চা বাগান আরও সবুজে সবুজ। তবে এই সময় বেড়াতে গেলে ছাতা একেবারে মাস্ট। বাকিটা দুচোখ ভরে দেখুন। সেই কোলাহল নেই। ট্রাফিক জ্যাম নেই। শুধুই নির্জনতা।

এখানে বজরার চাষ প্রচুর হয়। পাহাড়ের ধাপে ধাপে সেই চাষের জমি দেখলে একেবারে মন জুড়িয়ে যাবে। ট্রাউট মাছেরও চাষ হয় এখানে।

জঙ্গল ক্যাম্পে থাকলে আপনি হয়তো সেই পাঁচতারা হোটেলের বিলাসিতা পাবেন না। কিন্তু যেটা পাবেন সেটা জন্মজন্মান্তরেও ভোলা যাবে না। একেবারে প্রকৃতির মাঝে তৈরি হয়েছে কটেজ। ঠিক তাঁবু নয়, কিন্তু তাঁবুর মতো অনুভুতি হবে আপনার। বালাসনের ধার বরাবর ট্রেকিংয়েরও ব্যবস্থা রয়েছে। কম উচ্চতার ট্রেকিং, সার্ভাইভাল ক্যাম্প, নেচার ক্যাম্পেরও সুযোগ রয়েছে। বর্ষায় জঙ্গল ক্যাম্প খোলা থাকলেও নদী পারাপারের ঝুঁকি না নেওয়াটাই মঙ্গল। 

বন্ধ করুন