নীলগঞ্জ বিস্ফোরণের শুরু হয়ে গেল দায় ঠেলাঠেলির খেলা। রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ISF-এর ঘাড়ে এই বিস্ফোরণের দায় চাপিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। এমনকী রাজ্য সরকারকে কলঙ্কিত করতে ISF ষড়যন্ত্র করে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে রথীনবাবু বলেন, এই ব্যবসাটি যিনি করতেন তাঁর নাম রমজান। তিনি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ও ISF কর্মী। তাঁর বাড়িতে ISF-এর পার্টি অফিস রয়েছে। সে এখানে সামসুল আলির বাড়ি ভাড়া নিয়ে ব্যবসাটা করছিল। পঞ্চায়েত ভোটে ওই বুথেও ISF জিতেছে। আমার আশঙ্কা রাজ্য সরকারকে কলঙ্কিত করতে ISF এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ ব্যাপারটা দেখছে।
রবিবার সকালে নীলগঞ্চের মোজপোলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে এখনো পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন বাড়ির মালিক ও বাজি কারবারের মালিক রমজানের ছেলে। এলাকায় এখনো বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাজি ও বাজি তৈরির মশলা। একাধিক গুদামে মজুত রয়েছে বস্তা বস্তা বাজি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে এখানে বেআইনি বাজি কারখানা চলতে দিত পুলিশ। গোটা বিষয়টা জানতেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী রথীন ঘোষ।