অবশেষে জল্পনার অবসান। বিধায়ক হিসাবে বিধানসভায় যেতে চান না তাঁরা। সাংসদ পদেই বহাল থাকবেন নিশীথ প্রামাণিক–জগন্নাথ সরকার। ছাড়বেন দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ। তাঁদের আর্জিতেই রাজি হয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, দিল্লিতে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। তাই দিনহাটা–শান্তিপুরে উপনির্বাচনের জন্য তলে তলে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ার চিন্তা ভাবনায় রয়েছে বিজেপি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে লোকসভার চার সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহকে হারিয়ে দিনহাটা থেকে বিধায়ক হয়েছেন নিশীথ। আবার শান্তিপুরে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার জয়ী হয়েছেন।
এদিকে বিধায়ক হিসাবে শপখ নেননি নিশীথ–জগন্নাথ। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির এক প্রথমসারির নেতা বলেন, ‘এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দুই সাংসদকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।’ এখনই বিধানসভায় এসে শপথ নেবেন না নিশীথ এবং জগন্নাথ। কারণ শপথ নিলে পরবর্তী দু’সপ্তাহের মধ্যে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
অন্যদিকে নিশীথ–জগন্নাথ বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলে দিনহাটা ও শান্তিপুরে উপনির্বাচন হবে। খড়দহ আসনে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের কাজল সিংহের মৃত্যু হয়েছে। সেখানেও উপনির্বাচন হবে। নন্দীগ্রামে বিজেপি জয় পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কোনও একটি আসন থেকে জিতে আসতে হবে। সোমবার শপথ নেওয়া অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তাই মমতা ও অমিতের জন্য দুটি আসনে উপনির্বাচন হবে।