সম্প্রতি একাধিক সরকারি হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নষ্ট হওয়ার অভিযোগ শোনা গিয়েছে। আর এখন টাকার অভাবে অনেক হাসপাতালের কাছে নেই জীবনদায়ী ওষুধ। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। তাদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে দামি ইঞ্জেকশন এবং ওষুধ। অর্থ ভাবের কারণে অনেক রোগী আবার এই সমস্ত দামি ইঞ্জেকশন বা ওষুধ কিনতে পারছেন না। এমনই ছবি ধরা পড়েছে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে।
হাসপাতালে কেন ওষুধ মিলছে না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, যে সংস্থাগুলি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করে থাকে তারাই ঔষধ দিতে চাইছে না। তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার কোটি কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে। এই টাকা না মেটালে তাদের পক্ষে ওষুধ দেওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই সরকারি হাসপাতালগুলো ওষুধের ভাঁড়ারে টান পড়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, সরকারি হাসপাতালগুলো একটি অ্যাপ স্টোর ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে অনলাইনে ওষুধের অর্ডার দিয়ে থাকে। তাদের কাছ থেকে অর্ডার পাওয়ার পরেই সংস্থাগুলো ওষুধ সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু, তাদের কাছে অর্ডার দেওয়ার পরেও সংস্থাগুলি এখন ওষুধ সরবরাহ করছে না। যার ফলে মিলছে না ওষুধ। রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে এই অবস্থা চলছে গত কয়েক মাস ধরে। শুধুমাত্র জীবনদায়ী ওষুধের ক্ষেত্রেই এই অবস্থা নয়, প্যারাসিটামল অ্যান্টাসিডের মত সাধারণ ওষুধও মিলছে না সরকারি হাসপাতালগুলোতে। গত কয়েক মাস ধরে এই অবস্থা চলার ফলে চরম সমস্যায় পড়ছেন রোগী পরিবার।
রোগী পরিবারের অভিযোগ হাসপাতালে দিনের-পর-দিন ঘুরেও ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। বলা হচ্ছে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে নিতে। কিন্তু, অনেকের কাছেই পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ওষুধ কিনতে পারছেন না। তাদের বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। বিশেষ করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে একেবারেই ওষুধ মিলছে না বলে অভিযোগ।