গরমে প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার অবস্থা। প্রচন্ড তাপে ফুটছে কলকাতা। এই সময় মন কি পাহাড় পাহাড় করছে? আবার সেই ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিংয়ে যেতেও মন চাইছে না। তবে এবার আপনার গন্তব্য হতেই পারে সামালবং। কালিম্পংয়ের সামালবং(Samalbong)। মনোরম পাহাড়ি গ্রাম।
বছরের সব সময়ই আসা যায় এখানে। তবে প্রথম বৃষ্টি যখন পড়বে তখন এলে মজাই আলাদা। এক অন্যরকম অনুভূতি। মানে ধরুন জুন মাসে আসতে পারেন। আবার অক্টোবরের পর থেকেও অন্যরকম ভালোলাগা।
নির্জন নিরিবিলিতে দিন কয়েক কাটিয়েই দিতে পারেন এখানে। একাধিক ভিউ পয়েন্ট রয়েছে এখানে। সেখান থেকে মন ভরে পাহাড় দেখুন। পাহাড়ের এই গ্রামটা মূলত কৃষিপ্রধান। ধান, আদা, এলাচ, ভুট্টার চাষ হচ্ছে পাহাড়ের ঢালে। চারদিকে সবুজে সবুজ। এক অন্যরকম অনুভূতি হবে।
এখান থেকে মন ভরে দেখুন কাঞ্চনজঙ্ঘার বিস্তৃত রেঞ্জ। সামালবংয়ের ভিউ পয়েন্টে চুপ করে বসে থাকুন। নীচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে রেলি নদী। একের পর এক বাঁক নিয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী রেলি। আর সামনে দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়। এক অপূর্ব মেলবন্ধন।
পাহাড়ের সহজ সরল মানুষ। সবুজে ভরা গ্রাম। মাথা উঁচু করে থাকা পাহাড়। এখান থেকেই শুরু হয়েছে ঘন জঙ্গল। নীচে দিয়ে অজস্র বাঁক নিয়ে বয়ে চলেছে রেলি নদী। ভোর ভোর এসে বসে পড়ুন ভিউ পয়েন্টে। হোম স্টে থেকে কাছাকাছি এই ভিউ পয়েন্ট। এখান থেকেই দেখুন দূর পাহাড়ের নানান ছবি।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় পাহাড়ে গেলে রাতে দেখার কিছু থাকে না। তবে এখানে রাতেও ভিউ পয়েন্টে বসে থাকতে পারেন। তবে একটু সাবধানে। এখান থেকে দেখুন নেকলেশের মতো জ্বলছে পাহাড়ের আলো। ঠিক মনে হবে যেন পাহাড়ের রানী গলায় আলোর মালা পরেছেন।
মোটামুটি হাজার দেড়েক টাকাতেই এখানে হোমস্টের ঘর পেয়ে যেতে পারেন। তবে আগে থেকে বুক করে তবেই আসবেন।
এখান থেকে কাছেই রয়েছে হনুমান মন্দির। একেবারে পাহাড়ের কোলে। আছে ছোট্ট মনাস্ট্রি। নির্জন, পবিত্র। আছে পবিত্র গীর্জা। কাছেই সিঞ্জি গ্রাম। সেখান থেকে ওপর দিকে তাকালেই চারখোল। আর এক পর্যটন কেন্দ্র। এখান থেকে চারখোল, পানবু, লাভা, লোলেগাঁও ঘুরে আসতে পারেন। সামালবং থেকে সিল্ক রুটের পথেও যাওয়া যায়।
স্থানীয় এক হোম স্টের কর্ণধার অভিনন্দন ঘোষ হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, বর্ষায় সামালবংয়ের অন্য রূপ। অপরূপ এখানকার পাহাড়।
কীভাবে যাবেন: এনজেপিতে থেকে সরাসরি গাড়িতে ৭০ কিমি দূরে সামালবং। অনেকে শেয়ার গাড়িতে আসেন। এতে খরচ কম পড়ে। আবার কালিম্পং এসে সেখান থেকে শেয়ার গাড়িতে ২৭ কিমি দূরে সামালবং। ঘুরে আসতে পারেন গরমের ছুটিতে। বেশ ভালো লাগবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup