'লাগছে জব্বর!' দাদাগিরির গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রবার চন্দ বড়ালকে দেখে প্রথম প্রতিক্রিয়া সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। দাদাগিরি সিজন ১০-এর অন্যতম চর্চিত প্রতিযোগী এই শিল্পী। ‘সুন্দরী মহিলা বিষ দিলেও খেতে পারি’, এই কথা বলে ভাইরাল হয়েছিলেন প্রবাল চন্দ বড়াল। এদিন চুলে গেরুয়া রং করে হাজির এই প্রতিযোগী। সঙ্গে গেরুয়া জামা আর গলায় আকন্দের মালা। নিজেকে শিব ঠাকুরের সঙ্গে তুলনা করে বসেন তিনি। আরও পড়ুন-কম TRP-র জন্যই তাড়াতাড়ি ঝাঁপ বন্ধ দাদাগিরির? সৌরভের দরাজ প্রশংসা পরিচালকের
সৌরভ পালটা বলেন, ‘কিন্তু শিব ঠাকুর তো করলার জুস খান না’। প্রবালবাবুর গেরুয়া চুল দেখে দাদার মনে পড়ল রাসেলের কথা। বললেন, ‘ও চুলে বেগুনি রং করে, আর আপনি গেরুয়া’।
স্ত্রী-পুত্রবধূকে নিয়েই ফের দাদার মঞ্চে প্রবালবাবু। সৌরভের অনুরোধ, ‘ম্যাডামের কথা ভেবে বান্ধবীদের সঙ্গে একটু কম গল্প করুন’। দাদাগিরির চলতি সিজনের অপর ভাইরাল প্রতিযোগী সুরভী আচার্য্য। পুলিশের বউ অথচ দাদার সামনে বরকেই ‘চোর’ বলে বসেছিলেন সুরভী। এদিন অবশ্য বরকে সাথে নিয়ে এলেও খেলায় যোগ দিয়েছেন সুরভী একাই। তাঁকে দেখে সৌরভ বলে বসেন, ভিক্টোরিয়ায় ভেলপুরী স্টলে দেখা মেলে সুরভীর। সে কথা শুনে অপর প্রতিযোগী ডাঃ ভাস্বর মাইতি সৌরভকে প্রশ্ন করে, ‘দাদা আপনি কার সঙ্গে ভিক্টোরিয়া যান?’ হাসিমুখে দাদা বলেন, ‘কত লোক আছে আমার যাওয়ার’।
সুরভী সৌরভকে জানান, এখন সর্বত্র তাঁর কদর বেড়ে গিয়েছে। গত ৭ বছরে তিনি এত নিমন্ত্রণ পাননি, যা দাদাগিরির মঞ্চে আসবার পর থেকে পেয়েছেন। বাজার করতে গেলে এখন দোকানদার তাঁর থেকে টাকা নিতে চায় না। শুনেই আক্ষেপ করে সৌরভ বলেন, ‘দাদাকে কেউ বলে না এত বছরে’।
ওদিকে দাদাগিরির মঞ্চে ফিনালেতে ফের হাজির ৭৮ বছর বয়সী প্রতিমা পাল। ছেলের বিয়ের পর তাঁদের সঙ্গে না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, 'আমি নিজেদের মনে করি বেনারসি শাড়ি। বেশি ব্যবহার করলে রঙ চটে যাবে’। প্রৌঢ়ার কথায় মুগ্ধ হয়েছিলেন অনেকেই। এদিন সৌরভকে তিনি জানান, খাট থেকে পড়ে ফের চোট পেয়েছেন তিনি। অথচ দাদাগিরি খেলার লোভ সামলাতে না পেরেই ছুটে আসা এই মঞ্চে।
দশম সিজনের ফাইনাল রাউন্ডে মুখোমুখি লড়াইয় ছয় জেলা। ট্রফির লক্ষ্যে নামছে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান,বীরভূম। কার হাতে উঠবে সেরার ট্রফি? সেটা জানতেই মুখিয়ে সকলে।