মাধ্যমিক শেষ। স্কুলের পরীক্ষা প্রায় শেষ।উচ্চ মাধ্যমিক শেষের পথে। এই সময় একটু বেরিয়ে না এলে হয়! গরমের ছুটিতে যারা বেড়াতে যাবেন ভাবছেন তাঁরাও প্ল্যানটা করে রাখুন এখন থেকেই।
আজ একটা নতুন জায়গার সন্ধান থাকল। নাম ভালুখোপ। নামটা শুনে অনেকের ভাল্লুকের কথা মনে পড়ে যায়। কিন্তু না তেমন কিছু নয়। কালিম্পংয়ের এই জায়গা ভীষণ মিষ্টি। পাহাড়ের কোলে নির্জন সুন্দরী গ্রাম। দার্জিলিংয়ের সেই ঘিঞ্জি ব্যাপারটা একেবারেই নেই। শিলিগুড়ি থেকে টানা গাড়িতে আসার পরে যখন এখানে পা দেবেন দেখবেন সব ক্লান্তি দূর। কাঞ্চনজঙ্ঘার ১৮০ ডিগ্রি রূপ, নীচে বয়ে যাচ্ছে তিস্তা, চারপাশে সবুজে সবুজ, ফুলের মেলা, নাম না জানা পাখির গান আর একটু এগোলেই বৌদ্ধ গুম্ফার পবিত্রতা। সদা ব্যস্ত জীবনকে রিচার্জ করতে এর থেকে বিকল্প কিছু হতেই পারে না।
কালিম্পং শহর থেকে ভালুখোপের দূরত্ব বেশি নয়। ৫৩০০ ফুট উচ্চতায় ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। এখনো পর্যটকদের আনাগোনা সেভাবে নেই। নিরিবিলি, নির্জনতা যারা পছন্দ করেন তাদের এই জায়গা খুব ভালো লাগবে। চারপাশে জঙ্গল। তার মাঝে পায়ে চলা পথ। হোম স্টের জানালা খুললেই দেখতে পাবেন অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘা। মেঘ-রোদের লুকোচুরি। আর শীতকালে গেলে কুয়াশায় মোড়া চারদিক। আসলে এখানে প্রতি ঋতূতেই যেন অন্য ধরনের রূপ নিয়ে হাজির হয় প্রকৃতি।
কী কী দেখবেন এখানে?
এখান থেকে ডেলো পাহাড়, সিলারিগাও,ইচ্ছেগাও,ক্যাকটাস গার্ডেন, দূরপীন মনাস্ট্রি, দেখতে যেতে পারেন।
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার একাধিক ভিউ পয়েন্ট আছে এখানে। নিচে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নীল তিস্তা। যারা পাখি দেখতে ভালোবাসেন তাদের কাছেও অত্যন্ত প্রিয় এই ভালুখোপ।
এখান থেকে আর কোথায় যাওয়া যায়?
এখান থেকে লাভা লোলেগাঁও, পেডং, ঋষিখোলা যাওয়া যায়। ছোট ট্রেকিং রুট আছে এখানে। স্থানীয় ঝর্ণা পর্যন্ত পায়ে পায়ে ঘুরে আসতে পারেন। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পায়ে চলা রাস্তা। শীতকালে গেলে আরো ভালো লাগে। মেঘ আর কুয়াশায় একেবারে মাখামাখি।প্রিয়জনের হাত ধরে এই কুয়াশার মায়ায় হারিয়ে যেতে ভালো লাগবে। মনে থাকবে সারাজীবন। এখানে একাধিক হোমস্টে রয়েছে। সেখানে থাকতে পারবেন।
শিলিগুড়ি থেকে কীভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ৭২ কিমি দুূরে রয়েছে ভালুখোপ। শিলিগুড়ি থেকে গাড়িতে সরাসরি ভালুখোপ যেতে পারেন। এন জে পি থেকে গাড়ি ভাড়া করতে পারেন।বাগডোরা বিমানবন্দর থেকেও গাড়ি পাবেন।