হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল সিআইডি। শুক্রবার মালদার মোথাবাড়ি থেকে মাবুদ আলি নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিআইডি। শনিবার তাঁকে উত্তর দিনাজপুর আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজত দাবি করেছে তারা।
গত ১৩ জুলাই বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও দলের দাবি, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়কে। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশের দাবি ছিল, আত্মঘাতী হয়েছেন দেবেনবাবু।
ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয় বিজেপি ও মৃত বিধায়কের স্ত্রী চাঁদনি রায়। কিন্তু সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু হাইকোর্ট সিআইডি তদন্তেই সন্তোষ প্রকাশ করে।
নিহত দেবেনবাবুর পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে বলে দাবি করেছিল পুলিশ। সেই নোটে নাম ছিল নিলয় সিংহ ও মাবুদ আলি নামে ২ ব্যক্তির। অভিযোগ ছিল, বিধায়কের কাছ থেকে বিপুল ঋণ নিয়ে শোধ করছিলেন না তাঁরা।
তদন্তে উঠে আসে হেমতাবাদে দেবেনবাবুর বাড়িতেই ভাড়া থাকত নিলয়। তার সূত্রেই মাবুদের সঙ্গে পরিচয় হয় দেবেনবাবুর। তদন্তকারীদের দাবি, মাবুদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি চালকল তৈরির পরিকল্পনা ছিল দেবেনবাবু। সেজন্য মাবুদকে ২ কোটি টাকাও দেন তিনি। কিন্তু এর পর রাইস মিল তৈরি হয়নি। টাকাও ফেরত দিচ্ছিলেন না মাবুদরা। এর মধ্যে মৃত্যু হয় দেবেনবাবুর।
দেবেনবাবুর মৃত্যুতে সিআইডি ইতিমধ্যে খুনের মামলা রুজু করেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, ধৃত মাবুদ দেবেনবাবুর মৃত্যু রহস্যের অনেক কিছু জানানে। মৃত্যুর আগে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছিল বিধায়কের। ফলে তাঁকে জেরা করে বিশেষ তথ্য মিলতে পারে। এই মামলায় আগেই ইংরেজবাজার থেকে নিলয় সিংকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।