এক জেলবন্দির মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছাড়ালো টিটাগর থানায়। পুলিশের অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে ওই বন্দীর। এমনই অভিযোগ তুলে রবিবার টিটাগর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভকারীদের লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। অবশেষে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৭ ডিসেম্বর মইনুদ্দিন খান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে টিটাগর থানার পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ তুলে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, মইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয় মইনুদ্দিনকে। টিটাগর থানার পুলিশ আদালতে কাছে মইনুদ্দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানালেও সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি চেষ্টার অভিযোগ ছিল। আদালতের এই নির্দেশের পরে তাকে রাখা হয়েছিল ব্যারাকপুর উপ সংশোধনাগারে।
অভিযোগ, এরপরেই সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন মইনুদ্দিন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। সেখানে চিকিৎসা শুরু হয় মইনুদ্দিনের।
তারপরেও তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। শনিবার রাতে মৃত্যু হয় মইনুদ্দিনের। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার পরিবারের লোকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাদের অভিযোগ, জেলে থাকার সময় পুলিশি অত্যাচারের কারণেই মঈনুদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। জেলের মধ্যে তাকে অমানবিকভাবে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিবারের লোকেরা। যদিও পরিবারের এই অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য মইনুদ্দিনের আগে থেকেই শারীরিক সমস্যা ছিল। একটা সমস্যা বেড়ে যায়।