রবিবার সন্ধ্যায় পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্ত প্রকাশ্য রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন। কয়েকঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। আর এই শুটআউটের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তল্লাশি চালাতে গিয়ে মাঝরাত হয়ে যায়। আর মাঝরাতেই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে এই যুবকই মূল অভিযুক্ত। তাকে জেরা করে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনের ঘটনায় রাত থেকেই অপারেশন শুরু হয়। পরীক্ষা করা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। সেই সূত্রই সাহায্য করে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারে। কী দেখা যায় সিসিটিভি ফুটেজে? পুলিশ দেখতে পায়, একটি দোকানের সামনে স্কুটিতে বসে কথা বলছিলেন কাউন্সিলর। হঠাৎই এক নীল গেঞ্জি, নীল জিন্স পরা যুবক এসে অনুপমের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালায়। চলে গুলি। স্কুটি থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কাউন্সিলর। ওই যুবককেই তেঁতুলতলা মোড় থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে খবর।
কেন বেরিয়েছিলেন কাউন্সিলর অনুপম? পরিবার সূত্রে খবর, এদিন একটি কুকুর কিনেছিলেন অনুপমবাবু। সন্ধ্যায় খড়দহ থানার আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোড, মহাজাতি এলাকার একটি ওষুধের দোকান থেকে তিনি কুকুরের জন্য ওষুধ কিনতে এসেছিলেন। তখন দু’জন দুষ্কৃতী তাঁকে ‘ফলো’ করছিল। ওষুধ নিয়ে একজনের স্কুটারের পিছনে উঠেছিলেন তিনি। স্কুটার চালু হওয়ার আগেই নীল জামা পরা একজন অনুপমবাবুর মাথার পিছনে রিভলভার ধরে গুলি করে চম্পট দেয়।
কিভাবে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত? পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যুবককে চিহ্নিত করা হয়। তারপররাত ২টো ২০ মিনিট নাগাদ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার পরই তল্লাশিতে নামে পুলিশ। কিন্তু খবর ছিল এই যুবক এলাকা ছাড়তে পারেনি। তেঁতুলতলা থেকে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে একটি নির্জন এলাকা রয়েছে। সেখানে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েই রাত ২টোর পর গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। রাতে চলে দফায় দফায় জেরা। যে বন্দুক থেকে গুলি করা হয়েছিল সেটিও উদ্ধার হয়েছে। খুনের রহস্য উন্মোচনে চলছে জেরা।