শিক্ষকের পর এবার এক বিজেপি নেতাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল আগরপাড়ার তৃণমূল কাউন্সির হিমাংশু দেবের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পারিবারিক বিবাদ মেটানোর নামে তোলাবাজি করার চেষ্টা করেন তিনি। টাকা না দিলে বিজেপি নেতা ও তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করা হয়। এমনকী বাড়িতে তালা লাগিয়ে দেন তিনি। অভিযুক্ত নেতা জানিয়েছেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন।
পানিহাটি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিমাংশু দেবের এমনিতে কীর্তির অভাব নেই। কয়েক সপ্তাহ আগে এক শিক্ষক বাড়ি তৈরি করায় কাউন্সিলরের দাবি মতো তোলা না দেওয়ায় হিমাংশুর চ্যালা চামুন্ডারা শিক্ষকের বাড়ি ঢুকে ভাঙচুর করে এসেছিল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল, পারিবারিক বিবাদ মেটানোর নামে বিজেপি নেতাকে হেনস্থা করার। তাও নিজের ওয়ার্ডে নয়। পাশের ওয়ার্ডে।
আগরপাড়ার উষুমপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী স্বপন শীল আবার বিজেপির মণ্ডল কমিটির সম্পাদক। দীর্ঘদিন ধরে শীল পরিবারে সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ চলছিল। অভিযোগ, নিজের ওয়ার্ড পেরিয়ে পাশের ওয়ার্ডে শীল পরিবারের পারিবারিক সমস্যায় মাতব্বরি করতে আসেন তৃণমূল কাউন্সিলর হিংমাংশু ও তার দলবল। এর পর সমস্যা মেটানোর নামে স্বপনবাবুর কাছে তোলা দাবি করেন তিনি। তোলা দিতে অস্বীকার করলে হিমাংশুর পোষা গুন্ডা রবি দে স্বপনবাবুকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। মারের চোটে বিজেপি নেতার মুখ ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। এমনকী তাঁর বাড়ির একাংশে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চলে যান তৃণমূল কাউন্সিলর। সকাল ৫টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত গৃহবন্দি ছিল গোটা পরিবার।
তার পর রক্তাক্ত স্বপনবাবুর চিকিৎসা হয় পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এর পর ঘোলা থানায় গিয়ে হিমাংশু দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন স্বপনবাবু। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা স্বপনবাবু। যদিও টেলিফোনে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। গোলমাল শুনে মেটাতে যান। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।