শীতকাল মানেই পিকনিকের মরসুম। পিকনিক মানেই জমাটি আনন্দ। দল বেঁধে হই হুল্লোড়। তার সঙ্গেই ঢুকু ঢুকুও চলে পুরোদমে। আর অনেকে আবার তুমুল মাতালও হয়ে যান। আর সেই মদ্যপদের হাতে আক্রান্ত সাত সাতজন পুলিশকর্মী। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের গাড়িও। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানা এলাকার ক্ষীরপাইয়ের ঘটনা। এদিকে পুলিশের উপর এই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা?
স্থানীয় সূত্রে শীলাবতী নদীর ধারে পিকনিকের আসর বসেছিল। তুমুল হইচই। একেবারে যেন আনন্দের হাট বসেছে। বড়মা কালী মন্দির লাগোয়া এলাকায় পিকনিক করছিলেন কয়েকজন। একের পর এক পিকনিকের আসর বসেছিল নদীর পাড়ে। খাওয়া দাওয়াও চলেছিল পুরোদমে। এদিকে সেখানে ঘাটালের মনসুকা এলাকা থেকেও কয়েকজন এসেছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন যুবক মত্ত অবস্থায় নাচানাচি করছিলেন। আর মদ্যপ অবস্থায় তারা মহিলাদের নানা ধরনের অশ্লীল কথাবার্তা বলছিলেন বলে অভিযোগ।
এদিকে এনিয়ে পিকনিকের অপর দলের সঙ্গে তাদের বচসা বেঁধে যায়। এরপর তাদের সঙ্গে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। চরম উত্তেজনা ছড়ায় পিকনিক স্পটে। এদিকে মারপিটের খবর পেয়ে ক্ষীরপাই ফাঁড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে যায়। এদিকে তাতেও মদ্যপ যুবকদের থামানো যায়নি। চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মদ্যপ যুবকরা এবার পুলিশকর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এমনকী পুলিশের গাড়িতেও তারা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। একাধিক পুলিশ কর্মী জখম হন এই ঘটনায়। এরপর চন্দ্রকোনা থানাতেও খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় আসে। তারা এসে কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে তার মধ্যেই সাতজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। স্থানীয় তিনজন ব্যক্তিও হামলার জেরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
এদিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবকদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। আহতদের আপাতত ক্ষীরপাই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এভাবে আচমকা ওরা পুলিশের উপর চড়াও হবে এটা আঁচ করা যায়নি। এমন অতর্কিতে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিল না পুলিশও। সেকারণেই পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়নি।
এদিকে চন্দ্রকোনা থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুলিশের উপর চড়াও হয়েই মদ্যপ যুবকরা বেপাত্তা হয়ে যায়। পুলিশ ওপরমহলে গোটা বিষয়টি জানিয়ে দেয়।