হুগলিতে যুবককে খুনের পর দেহ টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত বিশাল দাস। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৩ পুলিশকর্মী। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, ওর বিরুদ্ধে ৩টে খুনের অভিযোগ রয়েছে। এবার ওর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এদিন বিশাল দাসের গ্রেফতারি নিয়ে ধুন্ধুমার বাঁধে। জানা গিয়েছে, গত ১০ অক্টোবর ওই খুনের পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিল বিশাল ও তার ২ শাগরেদ। গত প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে জীবনতলার কুঁড়িয়াভাঙায় জনৈক কুতুবুদ্দিন শেখের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল তারা। এলাকায় বহিরাগত দুষ্কৃতী আশ্রয় নিয়েছে জানতে পেরে মঙ্গলবার কুতুবুদ্দিনের বাড়িতে হানা দেন স্থানীয় যুবারা। তখন তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিশাল ও তার শাগরেদরা। তাতে ৩ জন তৃণমূলকর্মী আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর পর কুতুবুদ্দিনের বাড়ি ছেড়ে ভেড়ির দিকে পালায় দুষ্কৃতীরা। পিছন পিছন ধাওয়া করে জনতা। এরই মধ্যে মোটরভ্যানে উঠে যাত্রী সেজে পালানোর চেষ্টা করে তারা। পথে তাদের ধরে ফেলে স্থানীয়রা। ধৃতদের কাছ থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে বিশাল দাস ছাড়াও রথীন সিং ও বিপ্লব বিশ্বাস নামে আরও ২ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিষ্ণু মালের কাটা মুন্ডু যে খানে দেহাংশ উদ্ধার হয়েছিল সেখানেই পোঁতা রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় জীবনতলায়। বিশালের গ্রেফতারি নিয়ে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির বলেন, ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। আমাদের ৪টে টিম ওর ওপর নজর রাখছিল। শুনলাম শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছে। ওর বিরুদ্ধে অন্তত ৩টি খুনের অভিযোগ রয়েছে। ওর এবার যাতে শাস্তি হয় তার ব্যবস্থা করব।
বলে রাখি, গত ১০ অক্টোবর চুঁচুড়ার বাসিন্দা বিষ্ণু মাল নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে বিশাল ও তার শাগরেদরা। তার পর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে তা ফেলে দেয় বৈদ্যবাটিতে দিল্লি রোডের ধারে।