১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক যুবক দেওয়ালে সাঁটানো উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানে ছবিতে দুম দুম করে ঘুঁষি মারছে। সেই পোস্টারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও ছিল। তবে যুবকের নিশানায় কেবলমাত্র তৃণমূল বিধায়ক। ক্য়ামেরা সেট করেই একেবারে যেন ছবির সঙ্গে ছায়া যুদ্ধে নেমে পড়ল যুবক। যেন বক্সিং খেলতে নামলেন তিনি। এদিকে সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই শোরগোল পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। তবে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস ডিজিটাল বাংলা। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয় চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গত বিধানসভা ভোটের আগে এই পোস্টারগুলি সাঁটা হয়েছিল। সেই পোস্টারে থাকা বিধায়কের মুখকে টার্গেট করেছিলেন যুবক।
তবে এতো গেল প্রথম ভিডিওর কথা। দ্বিতীয় অপর একটি ভিডিও ঘুরছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেখানে একেবারে কান ধরে উঠবস করছেন ওই যুবক। হাতজোড় করে ভিডিওতে ক্ষমা চাইতে দেখা যায় যুবককে। বিধায়ক যাতে তাঁকে ক্ষমা করে দেন তাঁর আবেদন করেছেন যুবক। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, 'ওই যুবক একটি চা কারখানায় পাহারাদারের কাজ করেন। সম্ভবত নেশার ঘোরে সে এই কাজ করে বসেছে।' বাসিন্দাদের মতে, চাপে পড়ে ওই যুবক এখন ক্ষমা চেয়ে কোনরকমে শাসকদলের রোষের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার রাস্তা খুঁজছেন। তিনি বলেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় করে ফেলেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দিন।