শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতাকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল শ্বশুর ও শ্যালকদের বিরুদ্ধে। ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের। গুরুতর আহত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুপ কর। তাঁকে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় শ্বশুর দুলু কুণ্ডুর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছে অনুুপবাবুর পরিবার।
অনুপবাবুর দাবি, তাঁর সঙ্গে দুলু কুণ্ডুর মেয়ে শ্রেয়সী কুণ্ডুর ধর্মীয় বিয়ে হয়েছে। আইনি বিয়ের জন্য আলোচনা করতে বুধবার তাঁকে ডেকে পাঠান দুলুবাবু। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ি পৌঁছলেই সেখানে তাঁর ওপরে হামলা চালান দুলু কুণ্ডু ও তাঁর ছেলেরা। জনা পঞ্চাশেক লোক, বাঁশ লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে তাঁকে। এমনকী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্বামীকে এভাবে মার খেতে দেখে ফেসবুক লাইভে তাঁকে বাঁচানোর জন্য আবেদন করতে থাকেন শ্রেয়সী কুণ্ডু। সেই ভিডিয়ো দেখে সেখানে ছুটে যান অনুপবাবুর ভাই ও বন্ধুরা। সেখানে তাঁদের আটকে রেখে চাপ দিয়ে সাদা কাগজে বয়ান লেখানো হয় বলে অভিযোগ। তার পর অনুপ কুণ্ডুকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
অনুপবাবুর ভাই অপূর্ব কর বলেন, আমি গিয়ে দেখি দাদাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আমাকে চাপ দিয়ে সাদা কাগজে ওদের ইচ্ছা মতো বয়ান লিখিয়ে নিয়েছে। ওদের পিছনে শীর্ষ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নেতারা রয়েছেন। তাদের মদতেই আমার দাদাকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছে। দাদা বাঁচবে কি না জানি না।
অনুপবাবুকে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে শুয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। ব্যক্তিগত বিষয় বলে আমি দলবল নিয়ে যাইনি। সেই সুযোগে আমাকে বেধড়ক মেরেছে। আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই।’