রামপুরহাটের বগটুইতে সংগঠিত গণহত্যার ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারেন নানুরের এক যুবক। এমনই দাবি উঠেছে সেই যুবকের পরিবারের তরফে। জানা গিয়েছে, বগটুই গ্রামে নিজের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন সাজিদুল রহমান। সদ্য বিয়ে হয়েছিল সাজিদুলের। তাঁর স্ত্রী মর্জিনা বিবিকে আনতেই বগটুইতে গিয়েছিলেন সাজিদুল। তবে বগটুই গ্রাম থেকে আর বের হতে পারেননি এই দু’জন।
সংবাদমাধ্যমের কাছে সাজিদুলের বাবা কাজি নুরুল জামান অভিযোগ করেছেন, রামপুরহাট কাণ্ডে তাঁর ছেলে ও পুত্রবধুর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের ঘরে আগুন লাগিয়ে তাঁদের খুন করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। পরিবারের তরফে জানানো হচ্ছে, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ বগটুইয়ে পৌঁছান নানুরের যুবক। রাত ৯টা নাগাদ নাকি সাজিদুল তাঁর এক বন্ধুকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘আমাদের বাঁচা’। পাশাপাশি বন্ধুকে গ্রামে পুলিশ নিয়ে আসতে বলেছিলেন সাজিদুল। পরে মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ সংবাদমাধ্যমে রামপুরহাট গণহত্যার কথা জানতে পারে সাজিদুলের পরিবার।
উল্লেখ্য, সোমবার রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন দুষ্কৃতীদের বোমা হামলায়। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেই গ্রামের পরিস্থিতি। গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা ভআদুর খুনের অভিযুক্তরা পশ্চিমপাড়ায় থাকত। এই আবহে মঙ্গলবার রাতে গ্রামের বহু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় দমকল প্রাথমিক ভাবে বলে যে ১০ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে ৭ জনের মৃতদেহ মিলেছে। রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের তরফে ৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। শেষ পর্যন্ত বিকেলে পুলিশ দাবি করে যেঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের অনেকেরই দাবি, ঘটনায় অন্ততপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। রয়েছে দুই শিশুও।