গমগম করে বাজছে ডিজে। সঙ্গে ব্যান্ডপার্টিও রয়েছে। আবিরে রঙিন চারদিক। গান বাজছে আমি হেলেদুলে যাব শ্মশানে। সেলফিও উঠছে ক্ষণে ক্ষণে। এক ঝলক দেখলে মনে হতেই পারে বিজয় উৎসব। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই গোটা ব্যাপারটা খোলসা হয় মালদাবাসীর কাছে। আসলে ১০৫বছরের বৃদ্ধা অহিল্লা ঘোষের মৃত্যুর পরে এভাবেই তাঁর মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানযাত্রায় শামিল হলেন আত্মীয়রা। তবে শুধু নাতি সহ আত্মীয় পরিজনরাই নন, স্থানীয় বাসিন্দারাও এদিন এই শ্মশানযাত্রায় শামিল হন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, মথুরাপুর অঞ্চলের গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা অহিল্লা ঘোষ পরিবারটিকে কার্যত আগলে রেখেছিলেন। তাঁর ৬ পুত্রের মধ্যে তিনজনই মারা গিয়েছেন। কিন্তু তবুও পরিবারটিকে একছাতার তলায় রেখে দিয়েছিলেন তিনি। বার বার বলতেন এই জীবনে একেবারে দারুনভাবে বেঁচে নিয়েছি আমি। আর ঠাকুমার সেই হাসিমুখ দেখে বেশ শান্তি পেতেন নাতিরাও। ঠাকুমাও যে চাইতেন কোনও দুঃখ নয়, হাসিখুশিতে থাকতে হবে। এবার সেই হাসিখুশিকে বজায় রাখতেই শেষযাত্রাতেও আনন্দে মাতলেন আত্মীয়রা। বৃদ্ধার পরিজনদের দাবি, দীর্ঘ জীবনে অনেক কিছুই দেখেছেন তিনি।সুখ, দুঃখ সবটাই দেখেছেন তিনি। এতটা সময় বেঁচে থেকে জীবনের সব স্বাদই বুঝেছেন তিনি। সেকারণেই আনন্দের সঙ্গে ঠাকুমাকে বিদায় দেওয়া হচ্ছে। তবে গোটা শ্মশানযাত্রায় করোনা বিধি মানার ছিটেফোঁটাও ছিল না।