নির্বিচারে রেমডেসিভির ব্যবহারে রাশ টানতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজন হবে, তাঁদেরই শুধুমাত্র রেমডেসিভির দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। সেইসঙ্গে রাজ্যের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, এবার থেকে খোলা বাজারে বিকোবে না সেই ওষুধ। শুধুমাত্র হাসপাতাল থেকে মিলবে রেমডেসিভির।
ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের মধ্যে করোনার চিকিৎসায় যথেচ্ছভাবে রেমডেসিভির ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, নির্দিষ্ট নির্দেশিকা না মেনেই রেমডেসিভির দেওয়া হচ্ছে। সেই অভিযোগে সিলমোহর দিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসার নির্দিষ্ট সময় জরুরি ভিত্তিতে রেমডেসিভির ব্যবহারে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে নির্বিচারে সেই ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে বাজারে ‘কৃত্রিম’ আকাল তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রেমডেসিভির ব্যবহারের নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 'এটা মনে রাখতে হবে যে সব করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ব্যবহার করা যায় না। জানা গিয়েছে যে ১০-২০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ব্যবহারের যাবতীয় মানদণ্ড পূর্ণ হয়। আক্রান্তের ভিত্তিতে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'
কোন কোন ক্ষেত্রে রেমডেসিভির করা যাবে, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে রেমডেসিভির ব্যবহার করতে হবে। ১০ দিনের পর সেই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। সেইসঙ্গে খোলাবাজারে রেমডেসিভির বিক্রি বন্ধের পথে হেঁটেছে রাজ্য। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রেমডেসিভির কেনার জন্য রোগীদের প্রেসক্রিপশন দিতে পারবে না কোনও হাসপাতাল। রোগীদের সেই ওষুধ জোগাড় করে দেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের উপরেই থাকবে। প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে খোলা বাজার থেকে রেমডেসিভির কেনা যাবে না। তারইমধ্যে ২১ এপ্রিল থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যকে ৩২,০০০ ভায়াল রেমডেসিভির প্রদান করবে রাজ্য।