উৎসবের মরশুমে প্রকাশ্য এল আবার মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার খবর। মেচেদা বাইপাসে বাসের সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটতেই একাধিক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কাঁথি ঢোকার মুখে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় চারজন পর্যটকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। আচমকাই একটা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। আশপাশের দোকানদাররা তখন ছুটে যান। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল রাস্তা। লাল রঙের ছোট গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। উল্টোদিকে যাত্রীবাহী বাসের অবস্থাও শোচনীয়। কাছে যেতেই মুখ থেঁতলে যাওয়া, দলা পাকানো কয়েকটা শরীর দেখতে পান স্থানীয়রা।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? গাড়ির সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল চারজন পর্যটকের। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এই পথ দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই পথ দুর্ঘটনার খবর যায় থানায়। পুলিশ এসে রীতিমতো গাড়ি কেটে দেহ উদ্ধার করে। দিঘা ফেরত গাড়ির সঙ্গে দিঘাগামী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষেই এই ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের দিঘা নন্দকুমার কাঁথি বাইপাসের কাছে পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ, বুধবার বিকেলে একটি গাড়ি দিঘার দিকে যাচ্ছিল। আর উলটো দিক থেকে আসছিল একটি বাস। ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন নন্দকুমারে ঘটে বীভৎস পথ দুর্ঘটনা। বাসের সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ি। ভিতরে তখন আটকে পড়েন যাত্রীরা। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে। তৎক্ষণাৎ উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। আর পুলিশের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। সেখানেই চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে অনায়াসে, নভেম্বরের শুরুতেই আকর্ষণ পর্যটকদের
আর কী জানা যাচ্ছে? খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাঁথি থানার পুলিশ। পুলিশ গাড়ি থেকে চারজনকে উদ্ধার করে। তারপর কাঁথি মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর সেখানেই চিকিৎসক চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পথ দুর্ঘটনার পর ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয় সেখানে। আপাতত দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি–বাস দুটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। পর্যটক বোঝাই ছিল প্রাইভেট গাড়িতে। চারজন মারা গেলেও আরও দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় বাসিন্দা শুভঙ্কর কামিল্যা বলেন, ‘এই ঘটনার সময় আমি রাস্তায় ছিলাম। তখন বাস ও গাড়িই অসম্ভব গতিতে ছুটে যাচ্ছিল। ফাঁকা রাস্তা হওয়ায় দুটিরই গতিবেগ ছিল অনেক বেশি। তবে পর্যটক বোঝাই গাড়ির গতি ছিল মাত্রাছাড়া। অতিরিক্ত গতির ফলেই মুখোমুখি ধাক্কা মারে। ফলে প্রাইভেট গাড়ির যাত্রীরা গাড়িতে আটকে পড়ে। পরে সকলে এসে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।’