ঘূর্ণিঝড় আমফানের দুর্নীতি করে নেওয়া অন্তত ১ কোটি টাকা ফেরত এসেছে প্রশাসনের কাছে। এমনটাই জানা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে। মোট ৪৮৪ জন টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এখনো তেমন টাকা ফেরত মেলেনি বলে ফেরত আশা টাকার পরিমান আরও বাড়বে বলে আশাবাদী প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
আমফানের দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় এখনো পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনায় ১২ জনকে শো কজ করেছে তৃণমূল। টাকা ফেরতের জন্য প্রশাসনের তরফে চাপ দেওয়া হচ্ছে পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের। ওদিকে তৃণমূলের দলীয় তরফেও চাপ দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় নেতাদের।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বারাসত মহকুমায় ২৩৯ জন টাকা ফেরত দিয়েছেন। বারাসত ২ নম্বর ব্লকেই টাকা ফিরিয়েছেন ৯৬ জন। বারাসত ১ নম্বর ব্লকে ৪৩ জন। হাবরা পুর এলাকায় ৩৬ জন, হাবরা ২ নম্বর ব্লকে ১৫ জন, হাবরা ১ নম্বরে ৫ জন, আমডাঙায় ২ জন ও অশোকনগর – কল্যাণগড়ে ১ জন।
বসিরহাট মহকুমায় টাকা ফেরত দিয়েছেন ১৪৭ জন। তাদের মধ্যে মিনাখাঁয় ৮৬ জন, স্বরূপনগরে ৩৯ জন, হাড়োয়ায় ২০ জন, হিঙলগঞ্জে ২০ জন, বাদুড়িয়ায় ১৪ জন, বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকে ২ জন, হাসনাবাদে ৫ জন ও সন্দেশখালিতে ১ জন টাকা ফেরত দিয়েছেন।
টাকা ফেরতের ক্ষেত্রে সব থেকে খারাপ অবস্থা বনগাঁ মহকুমার। গোটা মহকুমায় সংখ্যাটা ১০০ পেরোয়নি। মহকুমায় বুধবার পর্যন্ত মোট ৯৮ জন টাকা ফেরত দিয়েছেন। বনগাঁ ব্লকে ৩৫ জন। গাইঘাটায় ৩৩ জন, বাগদায় ৩০ জন টাকা ফেরত দিয়েছেন।
বারাসত মহকুমার অন্তর্গত মধ্যমগ্রাম, বারাসত ও গোবরডাঙা পুরসভায় কেউ টাকা ফেরত দেননি।