আবার খনি এলাকায় খুন। নভেম্বর মাসে ফের একই ঘটনা ঘটল। এক কয়লাখনি কর্মীকে গুলি করে খুন করা হল। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আসানসোলের জামুড়িয়া এলাকায় এভাবে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুনের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।। একইসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েছে এলাকার নিরাপত্তা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, খুন হওয়া ইসিএল কর্মীর নাম স্বপন বাউরি(৫৪)। তিনি রানিগঞ্জের চাপুই খাস কোলিয়ারিতে কাজ করতেন। মঙ্গলবার রাতে জামুড়িয়ার দু’নম্বর জাতীয় সড়কের লাগোয়া চাপুই রোডে একটি মাংসের দোকানে বসে ছিলেন তিনি। তখন ওই ইসিএল কর্মীকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। গুলি চালাবার পর চম্পট দেয় তারা। পুলিশ পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, ‘এখানে তিন রাউন্ড গুলি চলে। আর গুলি করেই খুন করা হয়।’ পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সেন্ট্রাল অভিষেক মোদী। তদন্ত শুরু হয়েছে। এই খনি কর্মীর সঙ্গে কোন সমীকরণ ছিল তা খোঁজা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে লালার চার সহযোগী জয়দেব, নীরদবরণ, নারায়ণ ও গুরুপদকে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি দিল সিবিআই আদালত। মঙ্গলবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী শর্তসাপেক্ষে এই চারজনকে জামিনে মুক্তি দেন। জামিনের শর্ত, লালার এই চার সহযোগীর বিদেশ যাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।