আজ, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ তৃতীয়বারের জন্য বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারীকে তলব করেছে কাঁথি থানা। তবে সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী থানায় যাবেন দুপুরবেলায়। সকালে নয় কেন? কারণ, থানায় পেট ভরে খেতে দেওয়া হয় না। ফলে অভুক্ত অবস্থায় থানায় বসে থাকতে হয়। সেটা চান না তিনি। তাই শান্তিকুঞ্জ থেকে মধ্যাহ্নভোজ সেরেই ‘দুর্নীতি’ মামলায় পুলিশের মুখোমুখি হবেন সৌমেন্দু অধিকারী।
কেন কাঁথি থানায় আসছেন সৌমেন্দু? কাঁথি পুরসভার দু’বারের পুরপ্রধান ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। পুরপ্রধান থাকাকালীন সেখানে একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। এমনকী তদন্ত শুরু করেছেন অফিসাররা। কাঁথি পুরসভার শ্মশানে স্টল দুর্নীতি, সারদা কোম্পানি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে দুর্নীতি, ত্রিপল চুরি মামলা, টেন্ডার দুর্নীতি, গ্রিন সিটি (পথবাতি) দুর্নীতি–সহ নানা মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছে এবং রক্ষাকবচও দিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজের পরিচালন সমিতির প্রধান ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। এবার কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজের টেন্ডার সংক্রান্ত ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন জনৈক আবু সোহেল। আদালত তদন্তের নির্দেশ দেন জেলাশাসককে। তখনই তৎপর হয় পুলিশ। শুক্রবার ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৌমেন্দুকে ডেকে পাঠিয়েছে কাঁথি থানার পুলিশ। আগে দু’বার কাঁথি থানায় এসে ‘অভুক্ত’ ছিলেন সৌমেন্দু। তাই এবার মধ্যাহ্নভোজ সেরে যাবেন থানায়।
উল্লেখ্য, সৌমেন্দুর দাদা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও তমলুক থানা নোটিশ পাঠিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বেলাগাম মন্তব্য করার জন্য নোটিশ পেয়েছেন তিনি। সোমবার তাঁকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। আর আজ, শুক্রবার সৌমেন্দু যাচ্ছেন কাঁথি থানায়। সবমিলিয়ে অধিকারী পরিবার এখন পুলিশের ঘেরাটোপে ঢুকতে চলেছে। সৌমেন্দুর অভিযোগ, থানায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। তাই দুটি গল্পের বই নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেগুলি থানায় নিয়ে ঢোকার অনুমতি দেয়নি পুলিশ।